Representational image | (Photo Credits: Unsplash)

প্রতাপগড়, ৭ জুন: উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে এক বিয়েবাড়িতে কনের সাহসী সিদ্ধান্ত। বর, বরের আত্মীয়-বন্ধুরা মাতাল হয়ে বিয়ের আসরে আসে। শুধু তাই নয়, মাতাল বর ও তার বন্ধুরা কনেকে জোর করে নাচতেও বাধ্য করায়। এই কারণে টিকরি গ্রামের সেই বাড়ির কনে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বিয়ের আসর ভেঙে যায়। গত শনিবার এই বিয়েকে ঘিরে হয় তুলকালাম কাণ্ড।

বিয়ে বাতিল হওয়ায় পণ ফেরত দেওয়ার দাবিতে বরকে ঘেরাও করে রাখে কনের বাড়ির লোকেরা। এরপর পুলিশ এসে দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঝামেলা মেটায়। তবে কনে এরপরেও বিয়েতে রাজি হয়নি। ২২ বছরের কনের বক্তব্য, যে ছেলে বিয়ের দিন মাতাল হয়ে হবু স্ত্রী-র সঙ্গে অসভ্যতা করতে পারে, তার সঙ্গে আজীবন থাকা কোনওদিনই উচিত হবে না। পাত্রর বন্ধুদের দাবি, হবু বরের মদ্যপানের ইচ্ছা ছিল না।

পাত্রের নাম রবীন্দ্র প্যাটেল। করোনা কার্ফুর মধ্যে পুলিশের অনুমতি নিয়েই পাশের কুতিলিয়া আহিনা থেকে বিয়ে করতে এসেছিলস সে। স্থানীয় পুলিশরাও জানায়, বর সহ বরযাত্রীদের অধিকাংশই পুরো মাতাল হয়েই বিয়ে করতে গিয়েছিল। প্রথমে কনের বাড়ির লোকেরা বিষয়টাকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি, কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান যত এগোয় ততই মাতলামো বাড়তে থাকে বরযাত্রীদের। মালাবদলের সময় তো কনের হাত ধরে মাতাল পাত্র সবার সামনে নাচতে বলে। তখনই বিয়ে করতে নারাজ হয়ে জোরে চেঁচায় কনে। ছাতনাতলা থেকে কনে নিজের ঘরে চলে যাওযার পর কনের বাড়ির লোকেরা পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়। এরপরই কনের পরিবার তাদের দেওয়া পণের টাকা, উপহার ফেরত চায় পত্রপক্ষের কাছ থেকে। তারপর শুরু হয় দু পক্ষের ঝামেলা।