Unnao Rape Case: আগামী সপ্তাহেই উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের রায়, সাজা কি হবে কুলদীপ সেঙ্গারের?
কুলদীপ সেঙ্গার (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১০ ডিসেম্বর: আগামী সপ্তাহেই উন্নাও গণধর্ষণকাণ্ডের (Unnao Rape Case) রায়। রায় দিতে চলেছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi Highcourt)। অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের (Kuldip Singh Sengar) সাজা ঘোষণা করতে চলেছে আদালত। ইতিমধ্যেই বিজেপি দলের তরফে বহিষ্কার করা হয়েছে ওই বিজেপি বিধায়ককে। ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশে নক্কারজনক এই ঘটনার রায় দেবেন জেলা বিচারক ধর্মেশ শর্মা।

সিবিআই গতকাল সোমবারই এই ঘটনার বিস্তর সওয়াল-জবাব পর্ব শেষ করেছে। ২ ডিসেম্বরই প্রত্যক্ষদর্শীদের যাবতীয় বক্তব্য ক্যামেরায় রেকর্ড করা। কুলদীপ উন্নাওয়ের বাঙ্গারমারু থেকে চার বার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত শশী সিংও। তার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছিল। ধৃত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নিগৃহীতার বাবাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকলীন নিগ্রহ ও হত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল দিল্লির আদালতে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ২০১৮ সালে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগও উঠেছিল। বহিষ্কৃত বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে উন্নাওয়ে নিজের বাসভবনে ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিস হেফাজতে থাকাকালীন নিগৃহীতা তরুণীর বাবাকে মারধরের পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যুর জন্যও সেঙ্গারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের (CBI) উপর ন্যস্ত করা হয়। নিগৃহীতার পরিবারের অভিযোগ, সেঙ্গারের ষড়যন্ত্রে নিগৃহীতা ও তাঁর সঙ্গী আরোহীদের হত্যার উদ্দেশে ট্রাকটি মোতায়েন করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরের দিন ঘাতক ট্রাকের চালক ও ক্লিনারকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। আরও পড়ুন: Sri Sri Ravi Shankar: ভারতে বসবাসকারী ১ লক্ষ তামিল শ্রীলঙ্কানকে নাগরিকত্ব বিলের অধীনে আনা হোক, কেন্দ্রের কাছে দরবার করলেন শ্রী শ্রী রবিশংকর

এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ এপ্রিল কুলদীপ সেঙ্গারকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৮ জুলাই নিগৃহীতা তাঁর দুই আত্মীয়া এবং আইনজীবী যে গাড়িতে (Car) সফর করছিলেন, তার সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় দুই আত্মীয়ার মৃত্যু হয় এবং গুরুতর জখম অবস্থায় নিগৃহীতা ও তাঁর আইনজীবীকে লখনউয়ের হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভরতি করা হয়। পরে তাঁদের অবস্থার অবনতি ঘটলে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়।