নতুন দিল্লি, ৬ এপ্রিল: “ ‘গো করোনা গো’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালের (Ramdas Athawale) এই স্লোগান এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। বিশ্বজুড়ে করাল ছায়া ফেলেছে করোনাভাইরাস। সবাই চাইছে মারণ রোগ থেকে নিস্তার পেতে। তাই তো দেশ কাল ভেদে সবার মুখে একটাই কথা, ‘গো করোনা গো’। এসব শুনে মন্ত্রী কৃতিত্ব নিতে আসরে নেমে পড়লেন। সোমবার বললেন, তিনিই এই ‘গো করোনা গো’ স্লোগানটি এনেছিলেন ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে। তখন ভারতে কোভিড-১৯ এতটাও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারেনি। সেসময় আমার তৈরি স্লোগান শুনে মানুষ বলেছিল, এভাবে কি করোনা যাবে? এখন দেখছি বিশ্বজুড়ে সবাই সেই স্লোগান আওড়াচ্ছি।”
৫ এপ্রিল ফের সেই স্লোগান শুনল গোটা ভারতবর্ষ। এদিন রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধে করোনা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ ভারতবাসী নয় মিনিটের জন্য জ্বালল প্রদীপ। তখনই উঠল ‘গো করোনা গো’ স্লোগান। মহামারী করোনাকে তাড়াতে দেসবাসী গৃহবন্দি। লকডাউনে গোটা দেশ। ঘরে থাকতে গিয়ে মানুষ যাতে এই লড়াইয়ে নিজেকে একা না মনে করে, সেজন্যই এই প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলেছিলেন তিনি। এই নয় মিনিটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষকে ‘গো করোনা গো’। স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। আরও পড়ুন-Suspected Coronavirus Patient Dies: আইসোলেশন ছেড়ে পালাতে গিয়ে সাততলা থেকে পড়ে মৃত্যু করোনা আক্রান্তের
— Dr.Ramdas Athawale (@RamdasAthawale) April 6, 2020
Innovative way of Driving away #coronavirus by union minister Shri @RamdasAthawale
#coronavirus #coronavirusinindia #Coronavid19 #CoronaVirusUpdate pic.twitter.com/KRmTgw1smy
— Rama Suganthan (வாழப்பாடி இராம சுகந்தன்) (@vazhapadi) March 10, 2020
২০ ফেব্রুয়ারির এক অনুষ্ঠানে ‘গো করোনা গো’ স্লোগান দিচ্ছে কেন্দ্রী মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে। সেই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সময় গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় এক প্রার্থনা চলাকালীন চিনে মারণ ভাইরাস রুখতে চলছে এই স্লোগান। ভিডিওতে এমন শটও দেখা গিয়েছে। গত কয়েকদিনে দেশে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সোমবার ভারতে করোনা আক্রান্তের (COVID-19) সংখ্যা পৌঁছে গেল চার হাজারে। এক সঙ্গে ৪৯০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলতেই এই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। একেবারে সর্ব শেষ খবর অনুযায়ী ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৬৭। যেখানে ৩, হাজাজর ৬৬৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ২৯১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০৯ জনের। মৃতদের তালিকায় বিদেশী থাকায় দেহ স্থানান্তর করা হয়েছে। সবথেকে খারাব অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র।