লখনউ, ২৯ ডিসেম্বর: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) মেরঠ পুলিশ সুপারের (Meerut SP) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মোখতার আব্বাস নকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তিনি জানিয়েছিলেন, ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হবে। এটি যদি সত্যি হয় তাহলে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। দেশে অশান্তি ছড়ালে তা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। তা পুলিশকর্মী হোক কিংবা জনতা। এরকম মন্তব্য সহ্য করা হবে না। ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে এটি করা উচিত নয়। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) দাবি করেন যোগী সরকারকে ওই সিনিয়র পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। উত্তরপ্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তপ্ত রাজ্য। এরই মধ্যে দুদিন আগে বিক্ষোভকারীদের (Protesters) 'পাকিস্তান ফিরে যান' বলে বিতর্কের মুখে পড়েন পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ সিং। বিক্ষোভকারীরা শুক্রবারে নামাজ পড়ার পর বিক্ষোভে নামেন। পুলিশের দাবি সেখানে ভারতবিরোধী (Anti- Indian) স্লোগান (Slogan) দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরে ছিল। সেখান থেকে একটি ভিডিও সংগ্রহ করা হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে মেরঠের ওই সিনিয়র পুলিশ বিক্ষোভকারীদের পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার স্লোগান দিচ্ছেন। এর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।
এই ভিডিওতে দেখা যায় ফেজ টুপি পরে কিছু মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের উদ্দেশে পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ সিং বলেন "আপনারা কোথায় যাবেন? এই গলিটা আমি ঠিক করব।" তারা জবাব দেন নামাজ পড়তেই এখানে এসেছিলেন তাঁরা।। তারপর পুলিশের তরফ থেকে প্রশ্ন উঠে আসে, নামাজ পড়তেই যখন এসেছেন তখন নীল, কালো ব্যাজ পরে এসেছেন কেন? এদেশে থাকতে মন না চাইলে চলে যান। এদেশে থাকবেন আর গান গাইবেন অন্য দেশের তা হয় না।" আরও পড়ুন, মুসলমান সম্প্রদায়ের বিক্ষোভকারীদের 'পাকিস্তান ফিরে যান' বলে বিতর্কে মেরঠের পুলিশ সুপার
আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটা পুলিশকর্মী তাঁকে সমর্থন করেন। তিনি আরও বলেন, এক একটি বাড়ির এক একটা লোককে হাজতে ঢুকিয়ে দেবেন। উত্তরপ্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানান, বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গেছিলেন, পুলিশের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়ছিলেন। তারা ভারতবিরোধী স্লোগানও দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনক ছিল। তিনি আরও বলেছেন, এই পরিস্থিতে এইধরণের মন্তব্য করা উচিত হয়নি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারত। তবে পুলিশের তরফ থেকে কোনও গুলি চালানো হয়নি।