Representational Image (Photo Credits: Pixabay)

দিল্লতে অ্যাসিড হামলার ঘটনার তিনদিন পার। এরমধ্যে ঘটে গিয়েছে একাধিক নাটকীয় মোড়। ঘটনার পর তরুণী যে তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই তিন অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকে বাইকের গতিবিধি সারাদিনে কলেজ চত্বরের আশেপাশেই ছিল না। এমনকী ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজেও তেমন কোনও হামলার দৃশ্য পুলিশের নজরে পড়েনি। তারপর থেকেই ঘটনার তদন্তে পুলিশের নজর পড়ে আক্রান্ত তরুণী ও তাঁর পরিবারের ওপরে। পুলিশের ধারণা ছিল, এই হামলার পেছনে রয়েছে কোনও পারিবারিক বিবাদ।

রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই নিজের বছর ২০-এর মেয়েকে ব্যবহার করেছেন মুকুন্দপুরের বাসিন্দা আকিল খান। আর তাতে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন তাঁর ভাই ওয়াকিল খান। আসলে আকিলের মোজার কারখানা রয়েছে। সেই কারখানায় একটা সময়ে কাজ করতেন আরমান ও ইশানের মা। ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ওই কারখানায় অভিযুক্তের মায়ের ওপর যৌন নির্যাতন করে পরবর্তীকালে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল। সেই কারণে মহিলা কাজ ছাড়ে এবং তারপর আকিলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছিল।

দিল্লিতে মিথ্যা অ্যাসিড হামলা

আর সেই মামলা থেকে বাঁচার জন্য মেয়ে ও ভাইকে নিয়ে এই পরিকল্পনা ফাঁদে আকিল খান। পরিকল্পনা মতো কলেজের বাথরুমে গিয়ে টয়লেট পরিস্কারে ব্যবহৃত অ্যাসিড নিজের হাতে নিজেই ঢেলেছিল ২০ বছরের তরুণী। তারপর ইশান ও আরমানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে সে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এও জানতে পারে যে ২০১৮ সালে ইশান ও আরমানের মায়ের ওপর অ্যাসিড হামলা করেছিল আকিল খান ও তাঁর পরিবার।