শ্রীনগর, ১০ জানুয়ারি: গত বছরের শেষপর্যন্ত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবরা হামলা চালিয়ে কাশ্মীরে সাধারণ বাসিন্দা থেকে ভারতীয় সেনা জওয়ান কাউকেই নিশানা বানাতে ছাড়েনি পাকিস্তান। গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপের পর থেকেই নতুনভাবে সীমান্তের ওপারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাক সেনা। জঙ্গিদের মদত দিয়ে অনুপ্রবেশের কৌশল ফেঁদে চলেছে। হামলা করে সেনা চৌকিকে ব্যস্ত রেখে ভিন্ন লঞ্চপ্যাড দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোই তাদের লক্ষ্য। বছর শেষও রক্ত ঝরেছে সীমান্তে। নতুন বছরে দশটা দিনও কাটল না, ফের ফের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান (Pakistan)। শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ভারতীয় পোস্টে হামলা চালায় পাক রেঞ্জার্সরা। এই হামলায় দুই সেনা জওয়ানের মালবাহক হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা নাগাদ পুঞ্চের গুলপুর সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় মর্টার-হামলা করে পাকিস্তান সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। হামলার সময় সীমান্তের কাছে ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম সরানো হচ্ছিল। তখনই আচমকাই মর্টার হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনা। এই অতর্কিত আক্রমণে দুই ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন জন। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শহিদ জওয়ানদের দেহ উদ্ধা করা সম্ভব হয়নি। এর আগে পাক হামলার বদলা নিতে গত ২৬ ডিসেম্বর আর্টিলারি গান ও মর্টার শেল ব্যবহার করে পাক সেনা চৌকিগুলি ভেঙে দেয় ভারতীয় জওয়ানরা। তার আগেই সংঘর্য বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। এই ঘটনায় ১ ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন। আরও তিন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন-Narendra Modi: সিএএ–এনআরসি ইস্যুতে উত্তাল শহর, কালো পতাকা এড়াতে জলপথে বেলুড়মঠে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
#UPDATE Jammu and Kashmir: Two Army porters dead and two more injured in mortar shelling by Pakistan along Line of Control (LoC) in Gulpur sector of Poonch district. https://t.co/BUptTy9REJ
— ANI (@ANI) January 10, 2020
সীমান্তরেখার পরিস্থিতির যে কোনও সময় দ্রুত অবনতি হতে পারে বলে কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। তিনি বলেন, ‘‘সীমান্তরেখার পরিস্থিতি যে কোনও সময় দ্রুত অবনতি হতে পারে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।'' সদ্য জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৭২ কম্পানি আধা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৭২ কম্পানি বাহিনীর মধ্যে ছিল ২৪ কম্পানি আধা সামরিক বাহিনী, ১২ কম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ, ১২ কম্পানি ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি, ১২ কম্পানি সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ ও ১২ কোম্পানি স্বশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি।