নতুন দিল্লি, ৪ অক্টোবর: পেঁয়াজ (Onion) রফতানি বন্ধ (Export Ban) করা নিয়ে মজা করেও ভারতকে খোঁচা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। দেশে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আজ নতুন দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইকোনমিক ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি পেঁয়াজের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, "আমাদের ওখানে পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি না কেন আপনারা পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলেন। আমি আমার রাঁধুনিকে বলেছি পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে।" হাসিনার একথা শোনার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সকলেই হাসতে শুরু করে।
২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রক। নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়। কারণ কুইন্টাল প্রতি পেঁয়াজের দাম প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা হয়ে গেছিল। ভাষণ দিতে গিয়ে এনিয়ে খানিকটা খোঁচাও দেন শেখ হাসিনা। বলেন,"রফতানি যে বন্ধ করা হচ্ছে তার একটা নোটিস পেলে ভালো লাগতো। হঠাৎ করেই রফতানি বন্ধ করে দেওয়াতে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে। পরের বার আপনারা এই রকম কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলে আগাম নোটিস দিলে সুন্দর হবে।" আরও পড়ুন: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়ে মিগ-১৭ হেলিকপ্টার, স্বীকার করলেন বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদুড়িয়া
ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের জেরে বাংলাদেশে মারাত্মক প্রবাব পড়েছে। ঢাকায় প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ১০ হাজার টাকা। পরিস্থিতি সামলাতে মায়ানমার, মিশর, তুরস্ক এবং চিনকে তারা বলেছে সরবরাহ বাড়াতে। তাছাড়া সরকারিভাবেও কম দামে পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
মিশর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আনতে অন্তত একমাস সময় লাগে। চিন থেকে লাগে অন্তত ২৫ দিন। সেখানে ভারত থেকে পেঁয়াজ যেতে সময় লাগে কয়েকদিন। বাংলাদেশের মতো মায়ানমারও একই সমস্যায় ভুগছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দ্বিতীয় বড় ক্রেতা হল মায়ানমার। রফতানি বন্ধ ছাড়াও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মজুতের বিষয়ে কড়া হয়েছে সরকার। নির্দেশ অনুযায়ী, খুচরা বিক্রেতারা কেবল ১০০ কুইন্টাল এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা ৫০০ কুইন্টাল পেঁয়াজ মজুত রাখতে পারবেন।