নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম অপরাধী (Nirbhaya convicts) অক্ষয় কুমার সিংয়ের দায়ের করা রিভিউ পিটিশন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় হবে শুনানি। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি আর ভানুমতি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের ডিভিশনবেঞ্চে রয়েছে এই মামলার শুনানি। রিভিউ পিটিশনে অপরাধী অক্ষয় কুমার সিংয়ের বক্তব্য, দিল্লির জল ও বায়ু দূষণ এমনিতেই মানুষের আয়ু কয়েক গুণ কমিয়ে দিয়েছে। তাহলে কেন আর শুধু শুধু তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। তার আইনজীবী এপি সিং সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিভিউ পিটিশনে দাবি করেছেন ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২-এ রাতে দিল্লিতে ছিলই না তাঁর মক্কেল অক্ষয়।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এ পি সিং বলেন, ঘটনার দিন তাঁর মক্কেল বিহারের ঔরঙ্গাবাদে তার নিজের বাড়িতে ছিল। তার কাছে সে রাতের বাস টিকিট এবং অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে, যা শী র্ষ আদালত চাইলে জমা করা যাবে। এ পি সিং এও দাবি করেন অন্য দোষী রাম সিং-এর তিহার জেলের ভিতর মৃত্যু কখনওই আত্মহত্যা হতে পারে না। তাকেও সম্ভবত খুন করা হয়েছিল। বাকি চার অপরাধী অক্ষয়, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিং-কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। খারিজ হয়ে যায় রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশনও। কিন্তু এর পরও হার মানতে নারাজ অন্যতম অপরাধী অক্ষয় কুমার সিং। আরও পড়ুন-Manoj Mukund Naravane: দায়িত্ব থেকে অবসর বিপিন রাওয়াতের, ভারতের পরবর্তী সেনাপ্রধান হচ্ছেন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে
Asha Devi, mother of 2012 Delhi gang-rape victim: We believe we will get justice because we have no other option. If Kuldeep Sengar (Unnao rape convict) & Nirbhaya's 4 culprits get capital punishment, it will send a strong message to the society. pic.twitter.com/vZcNvZOnjW
— ANI (@ANI) December 17, 2019
উল্লেখ্য, ঠিক ৭ বছর আগে ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর। নৃশংস পৈশাচিক ধর্ষণের সাক্ষী হয়েছিল রাতের দিল্লি। নির্ভয়া ধর্ষণের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন দেশবাসী। পুলিশের তত্পরতায় দ্রুত ধরা পড়েছিল ছয় অভিযুক্ত। এদিকে মেয়ের ধর্ষক ও খুনিদের কঠোর সাজার আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন আশাদেবী। তিনি বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে সুবিচার পাব। এছাড়া আর কোনও পথ নেই। যদি নির্ভয়ার ধর্ষক খুনি ও কুলদীপ সেঙ্গারের কঠোর সাজা হয় তাহলেই দেশবাসীর কাছে কড়া বার্তা পৌঁছাবে। কেউ পরে এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করার আগে অন্তত দুবার ভাববে।