মুম্বই, ২২ জুন: নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য থেকে উড়ে একেবারে হিমন্ত বিশ্বশর্মা-র অসমের হোটেলে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে উড়ে গিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাঁর সঙ্গে শিবসেনার ২২ জন বিধায়ক। আজ, বুধবার সকালে বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে কথা বলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তবে লাভ কিছুই হয়নি। একনাথ শিন্ডে চাইছেন, কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ছেড়ে বিজেপি-র সমর্থনে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ুক শিবসেনা। আর সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি নিজে। এই দাবিতে পুরোপুরি অনড় একনাথ। এমন অবস্থায় মহারাষ্ট্রে সরকার বাঁচানোর আশা ছাড়ছে শিবসেনা। শোনা যাচ্ছে শিবসেনায় একনাথের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে। সেই আঁচ পেয়ে উদ্ভব ঠাকরে- সঞ্জয় রাউতরা হাল ছাড়ছেন।
দলীয় মন্ত্রী-বিধায়কদের বিদ্রোহে হতাশ শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত টুইট করে জানালেন, "মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা রাজ্য বিধানসভা ভাঙার পথে চলেছে।" শিবসেনার মধ্যে চলা এই অচলাবস্থার মাঝে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস তাদের ঘর বাঁচাতে নেমেছে। দলের ৪৪জন বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মহারাষ্ট্রের নয়া দায়িত্ব পাওয়া নেতা কমলনাথ। আরও পড়ুন-দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি
দেখুন টুইট
Shiv Sena's Sanjay Raut hints at the dissolution of #Maharashtra Legislative Assembly amid the current political crisis in the state.
He tweets, "The ongoing political crisis in Maharashtra is heading to the dissolution of Vidhan Sabha." pic.twitter.com/rNyln0sFuh
— ANI (@ANI) June 22, 2022
এই অচলাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে একনাথ শিন্ডেকে মুখ করে সরকার গড়তে চেষ্টা করছে বিজেপি। যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন একনাথ শিন্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফদনবীশ। বিজেপি-র লক্ষ্য হল যে করেই হোক মহাআগোড়ি (মহাজোট) সরকারকে সরানো।
২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপি, শিবসেনা জোট গড়ে লড়েছিল। বিরুদ্ধে ছিল কংগ্রেস-এনসিপি জোট। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায় মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি জেতে ১০৬টি, শিবসেনা ৫৬টি, এনসিপি ৫৫ ও কংগ্রেস ৪৪টি আসনে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এনডিএ-র সঙ্গ ছেড়ে এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হন শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে। বিরোধী আসনে বসে বিজেপি। ২০১৯ সাল থেকে গত তিন বছর নানা ঝড় সামলে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন উদ্ভব। কংগ্রেস বা এনসিপি কখনই তাঁকে বিপদে ফেলেনি। কিন্তু ঘরের বিদ্রোহেই এবার হয়তো সিংহাসন হারাতে চলেছেন বালা সাহেব পুত্র।