ইসরো প্রধান কে শিবন (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২ জানুয়ারি: চন্দ্রযান-২ নিয়ে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো-র পাশাপাশি গোটা দেশের স্বপ্ন ছিল আকাশচুম্বি। বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তাই চন্দ্রযান-২ যেদিন চাঁদের উদ্দেশে রওনা হল সেদিনই তিনি ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরের সেই দিনটি যেদিন গোটা দেশের সঙ্গে ইসরো চন্দ্রযান-২ এর বিক্রম ল্যান্ডারের চাঁদে অবতরণের দৃশ্য ভাগ করে নিয়েছিলেন সেদিনও সঙ্গে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবং টিভিতে সরাসরি চলছিল টেলিকাস্ট। অবতরণের একেবারে সামনে পৌঁছে আচমকাই ইসরোর সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর কয়েকটা মুহূর্ত ছিল অপার নিস্তব্ধতায় ভরা। কী হবে কী হবে একটা রব, না তারপর আর সেই যোগাযোগ ঘটেনি। ব্যর্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে ইসরো প্রধান যখন স্তব্ধ, তখন তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

হ্যাঁ সেই দিনটি অর্থাৎ সেই মুহূর্তটি আজও ভুলতে পারেন না তিনি। কে শিবন নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইলেন। চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হওয়ার শোকে তিনি তখন পাথর। মহাকাশ গবেষমা কেন্দ্রের পাশাপাশি গোটা দেশ তখন মুষড়ে পড়েছে। ছাত্র থেকে তরুণ গবেষক, রাজনীতিবিদ থেকে গৃহবধূ সবার মুখে বিষাদের ছাপ। প্রধানমন্ত্রী সেদিন ইসরোতেই ছিলেন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে। তাই ব্যর্থতাও ভাগ করে নিতে দেরি করেননি তিনি। আবেগাপ্লুত কে শিবন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আলিঙ্গন তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে। তিনি যে কত বড় একজন নেতা তা তাঁর আপন করে নেওয়ার ভঙ্গিতেই প্রমাণ করে দিয়েছেন। আরও পড়ুন-Chandrayaan-3: ২০২০-তে চন্দ্রাভিযান জারি রাখতে তৈরি হচ্ছে চন্দ্রযান-৩, বছরের শুরুতেই সুখবর ইসরো প্রধান কে শিবনেরকেন্দ্রের বিজেপি সরকারে চলতি বছরে ফের চাঁদে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) পাঠানোর জন্য ইসরোকে প্রয়োজনীয় অর্থ দেবে। বছরের শুরুতেই দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাই ইসরোর প্রধান কে শিবন (ISRO Chief K Shivan) বললেন, “২০২০ কার্যত একটি ‘সোনার বছর’ ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে। এই বছরেই আমরা নামব চাঁদের মাটিতে। ‘চন্দ্রযান-৩’ অভিযানে। কোনও মহাকাশচারী ছাড়া এ বছরই প্রথম মহড়া হবে ‘গগনযান’-এর। হবে মোট ২৫টিরও বেশি মহাকাশ অভিযান। শুধু তাই নয়, দেশের দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর (স্পেস পোর্ট) বানানোর জন্য এই বছরেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। তামিলনাড়ুর থুতুকুড়িতে তা করার কথা ভাবা হয়েছে।”