দিল্লি হাইকোর্ট (Photo Credits: Wikimedia Commons)

নতুন দিল্লি, ১৯ নভেম্বর: জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Millia Islamia University)। নাগরিক সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে প্রতিবাদে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খবরে থাকা শিক্ষাঙ্গন। কেন্দ্র সরকারের নয়া আইন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অশান্তির ঘটনায় এবার জবাবদিহি চাইল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকার এবং দিল্লি পুলিশকে (Delhi Police) নোটিশ জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনা নিয়ে আদালতে আবেদনের বিষয়ে তাঁদের জবাব চাওয়া হয়েছে ওই নোটিশে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার আগামী শুনানির তারিখ পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।

৪ ফেব্রুয়ারিকে শুনানির আগামী তারিখ হিসেবে ধার্য করায় তার আগেই শুনানির দিন ধার্য করার আবেদন জানিয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানান আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তখনই ভরা আদালতে 'লজ্জা' 'লজ্জা' বলে চিৎকার করে ওঠেন আইনজীবীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষাও অস্বীকার করে দেন আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি সি হরি শঙ্করের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজধানীর (Capital City) জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। যদিও তাঁরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন বলেই জানান পুলিশের মুখপাত্র। ধৃতদের প্রত্যেকেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এম এস রানধাওয়া জানিয়েছিলেন, “রবিবার বিক্ষোভের ঘটনায় জামিয়া নগর থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেরই অপরাধের রেকর্ড হয়েছে। তবে এরা কেউই পড়ুয়া নয়। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নিয়েই ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।” আরও পড়ুন: Mamata Banerjee On Detention Of Ramchandra Guha: ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে আটক করায় টুইটারে তোপ মমতা ব্যানার্জির

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor) নাজমা আক্তার ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ এবং শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা ও ভাঙচুর এর জন্য “অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ কর্মীদের” বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ুয়াদের টেনে হিঁচড়ে বের করে তাঁদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে জামিয়া মিলিয়া। দক্ষিণ দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকায় বাস ও অন্যান্য যানবাহনও জ্বালিয়ে দেয় তাঁরা। যদিও জামিয়া কর্তৃপক্ষেরও দাবি বিক্ষোভকারীরা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয়, তাঁরা বহিরাগত।