Molestation (Photo Credit: Pixabay)

বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজের ডিরেক্টর পদে এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু। আশ্রমে শিষ্যদের প্রবচন দেওয়ার পাশাপাশি কলেজের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সারাদিন সকলের সঙ্গে হাসিখুশি ভাবে কথা বললেও রাত বাড়লেই বেড়ে উঠত অশালীনতার সীমা। কলেজের নাবালিকাদের কুপ্রস্তাব দিয়ে মেসেজ পাঠাতেন। তাতে সাড়া না দিলে অত্যাচারের হুমকি দেওয়া হত। এভাবে অনেক ছাত্রীই যৌন হেনস্থার (Molestation Case) শিকার হয়েছেন দিনের পর দিন। অবশেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত।

উদ্ধার নগদ টাকা

জানা যাচ্ছে, দিল্লির বসন্তকুঞ্চ উত্তর থানা (Vasant Kunj North Police Station) এলাকায় ধর্মগুরু স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। সবমিলিয়ে ১৭ জন তরুণী বাবাজির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে আশ্রমে যায় পুলিশের একটি টিম। সেই সময় একটি বিলাসবহুল গাড়ি, সিসিটিভি ফুটেজের হার্ডডিস্ক, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও নগদ ৫০-৬০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া চৈতন্যানন্দের সেবিকাদের জেরা ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদেরও জেরা করা হয়।

বাজেয়াপ্ত করা গাড়িতে ভুয়ো নম্বরপ্লেট

বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর আরও একটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা যাচ্ছে, গাড়িতে ভুয়ো নম্বরপ্লেট লাগানো ছিল। অভিযুক্তের লোকেশন শেষবারের জন্যা আগ্রায় দেখা গিয়েছিল। তবে সেখানে গিয়েও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে বহিস্কার করে দিয়েছে। তবে তদন্তকারীদের দাবি, চৈতন্যানন্দ একজন দাগি অপরাধী। অতীতে তাঁর নাম পার্থসারথী ছিল।

চৈতন্যানন্দ অতীতের কীর্তি

২০০৯ সালে ডিফেন্স কলোনিতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তারপর ২০১৬ সালেও বসন্ত কুঞ্জ থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এহেন অভিযুক্তকে কলেজের ডিরেক্টর পদে কেন নিযুক্ত করা হয়েছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্নের