প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Photo Credit: ANI)

দিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: বায়ো সন্ত্রাস (Bioterrorism), এনিয়ে বলিউড সিনেমা তৈরি করতে পারে, টেলিভিশনের সোপ অপেরাতেও চলতে পারে নানা প্রোগ্রাম। তবে সামনে থেকে এই বায়ো সন্ত্রাসকে প্রত্যক্ষ করেনি ভারত ও সেখানকার বাসিন্দারা। সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে আমরা বুঝতে পারি, নাশকতায় গোলাগুলি চলে বিস্ফোরণে প্রাণ যায় প্রিয়জনদের। সম্পত্তিও দেদার নষ্ট হয়। এই আক্রমণ হওয়ার আগেভাগে আপনি বুঝতে না পারলেও, আঘাত হানা শুরু হলেই তার প্রকৃতি দেখে বুঝে যাবেন সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। কিন্তু বায়ো সন্ত্রাসে বোঝারই উপায় নেই যে কি হয়েছে। যতক্ষণে বুঝবেন ততক্ষণে বৃহদাংশের প্রাণহানি ঘটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়েই মুখ খুললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

সুকৌশলে কোনও ওষুধ কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকার জলের পাইপলাইনে মিশিয়ে দিয়ে কাজ সেরে ফেলতে পারে জঙ্গিরা।এবার তো নিশ্চিত মৃত্যু দেখা ছাড়া উপায়ই থাকবে না। সাধারণত কোনও প্রশাসনকে মোক্ষম টাইট দিতে এমন ছক কষতেই পারে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। আকাশপথে উড়ে এসে কোনও মারণ গ্যাস স্প্রে করে চলে যেতে পারে, কিম্বা কোনও মারণ জীবাণু ফেলে যেতে পারে, যে সেই অঞ্চলের জনজাতিকে শারীরিকভাবে পঙ্গু করে দিতে পার,। বা চিরতরে অসুস্থ। এমন মহামারির আকারে কিছু ঘটলে কোনওভাবেই দেশের প্রশাসন, সেনা, চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিকার করতে পারবেন না। তবে আগে থেকে তার ব্যবস্থা করে রাখতে হবে এদিন এক মিলিটারি মেডিসিন কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাই বললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আরও পড়ুন-লাদাখ সীমান্তে ভারতও চিনা সেনার মধ্যে হাতাহাতি, সামাল দিলেন সেনা কর্তারা

সাংহাই কো-অপারেশন নামের এক সংস্থা এদিন প্রথম বায়ো সন্ত্রাস নিয়ে কনফারেন্স করে। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ‘বায়ো সন্ত্রাসের মতো ভয়াবহ বিপদ এখনকার দিনে আর একটিও নেই। এই বিপর্যয় রুখতে হলে সশস্ত্র সেনাবাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবার (medical services) দলকে একেবারে সর্বাগ্রে থাকতে হবে ও এই বায়ো সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে হবে।’