Ayodhya Verdict: অযোধ্যার মামলার চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
বাবরি মসজিদ (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ১২ ডিসেম্বর: গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলায় চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ভূতপূর্ব প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেই রায়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির পথ সুগম হয়েছে। আজ অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছিল ১৮টি আর্জি। সেই আর্জিগুলি একত্রিত করে শুনানিতে রাজি হয়েছিল আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে (Chief Justice SA Bobde), বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এসএ নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।

গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জায়গার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। ১০৪৫ পাতার রায়ে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের রিপোর্টের উল্লেখ রয়েছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ বা Archaeological Survey of India (ASI) জানিয়েছে, বাবরি মসজিদের তলায় মিলেছে ঐতিহাসিক কাঠামো। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।  আরও পড়ুন-Assam CM Sarbananada Sonowal: ‘আমাদের সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা মনে রেখেই অসমের বাসিন্দারা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন’, অবশেষে আবেদন সর্বানন্দ সনোয়ালের

উল্লেখ্য, অযোধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায় চ্যালেঞ্জ করে দাখিল হয়েছিল ১৮টি মামলা। সবকটি একত্রিত করে এদিন বন্ধ ঘরে শুনানি চলে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চে। মুসলিমপক্ষের আবেদনকারীরা দাবি করেন, শান্তিভঙ্গ করতে চায় না তারা। তবে উপযুক্ত বিচার শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনুকূল ভূমিকা পালন করে। বিচার পেতেই তারা আবেদন করেছে। তবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম রায়ের উপরে ভরসা রেখেছে। যদি মুসলিম পক্ষের একাংশের দাবি, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছে। তাই সেখানে রামমন্দির নির্মাণ অবৈধ। নির্মোহি আখড়া তাদের কর্তব্য জানতে চেয়েছে। আর হিন্দু মহাসভা চাইছে অযোধ্যার বাইরে কোথাও মসজিদ তৈরির জন্য মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দেওয়া হোক।