পাঞ্জাব, ২৮ জুলাই: লাহোরের প্রসিদ্ধ গুরুদ্বারকে মসজিদে রুপান্তরিত করার চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান। ঘটনাটি জানতে পেরেই ইসলামাবাদের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (CM Amarinder Singh)। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, “লাহোরের পবিত্র গুরুদ্বার শ্রী শাহিদি আস্থানকে মসজিদে রুপান্তরিত করার চেষ্টা চলছে। সেখানেই রয়েছে শহিদ ভাই তরু সিং জি-র সমাধি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।” এছাড়াও পাঞ্জাবের তরফে পাকিস্তানের সমস্ত শিখ গুরুদ্বারগুলিকে কড়া নিরাপত্তায় রাখার জন্য তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকেও অনুরোধ করেছেন। এদিকে লাহোরের প্রসিদ্ধ গুরুদ্বারকে মসজিদে পরিণত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোমবারই সরব হয়েছে ভারত। পাকিস্তানের দূতাবাসে এনিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে।
তথ্যানুসারে লাহোরের শাহিদি আস্থান ভাই তরুজি গুরুদ্বার একটি ঐতিহাসিক স্থান। ১৭৪৫ সালে এখানেই শহিদ হন ভাই তরুজি। সেই সময় থেকেই শিখ ধর্মাবলম্বীরা এই গুরুদ্বারকে অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসেবেই মেনে আসছেন। তাই সেই শ্রী শাহিদি আস্থান গুরুদ্বারকে মসজিদে রুপান্তরিত করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে আমরা বলেছি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য ব্যবস্থা নিন। তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগী হন। আরও পড়ুন- COVID-19 Cases In India: ১৫ লাখ ছুঁই ছুঁই আক্রান্তকে নিয়ে করোনা জর্জরিত ভারত, মৃত্যু মিছিলে শামিল ৩৩ হাজার ৪২৫ জন
Strongly condemn attempts being made to convert holy Gurdwara Sri Shahidi Asthan in Lahore, site of martyrdom of Bhai Taru Singh Ji, into mosque. Urge @DrSJaishankar to convey Punjab's concerns in strongest terms to Pakistan to safeguard all Sikh places of reverence.
— Capt.Amarinder Singh (@capt_amarinder) July 28, 2020
এদিকে অকালি দলের মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উদ্দেশে টুইট করে বলেন, “চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।” তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের চরমপন্থীরা শহিদি স্থান সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলতে চায়। এই প্রচেষ্টা মৌলিক মানবাধিকারের বিরোধী। কোনও ব্যক্তিকে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। শাহিদি আস্থানকে বেআইনি দখলদারদের থেকে মুক্ত করতে আপনি ব্যবস্থা নিন।” ডেকান ক্রনিক্যালের রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ডের এক সদস্য হলেন সেদেশের সরকারি আমলা। তিনিই লাহোরের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে পাকিস্তান পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগে স্পষ্ট বলা আছে, লাহোরে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের উপরে সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশকে সুকৌশলে খেপিয়ে তোলা হয়েছে।