রাঁচি, ৩০ জুলাই: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ধানবাদের জেলা ও দায়রা বিচারক (Death Of Jharkhand Judge) আনন্দ উত্তম৷ বুধবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ধানবাদে ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির ভিতরে৷ এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে SIT গঠন হল ঝাড়খণ্ডে৷ এডিজি সঞ্জয় আনন্দ লাতকরের নেতৃত্বাধীন SIT-এর আরদুই তদন্তকারী পুলিশকর্তা হলেন ডিআইজি এবং বোকারো ও ধানবাদের সিনিয়র পুলিশ সুপার৷ ধানবাদের অতিরিক্ত জেলা জাজ ছিলেন প্রয়াত আনন্দ উত্তম৷ বুধবার কোলসিটি ধানবাদের ম্যাজিস্ট্রেট কলোনিতে তিনি প্রতিদিনকার মতো প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন৷ অভিযোগ, সেই সময়ই একটি অটোরিকশা তাঁকে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারে৷ গুরুতর আহত বিচারকেক তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়৷
পরে দুর্ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি অটোরিকশা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিচারককে ধাক্কা মারছে৷ এরপরেই অটোচালক লখন বর্মা ও তার সহযোগী রাহুল বর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ এরপর জেরায় বিচারককে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারার বিষয়টি স্বীকার করে নেয় ধৃত৷ বিচারকের মৃত্যুর খবর শুনেই বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড আদালত ডিজিপি ও ঝাড়খণ্ডের সিনিয়র পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠায়৷ শুনানির সময় আদালত জানায়, বিচারকের মৃত্যুর তদন্তে কোনওরকম গাফিলতির খবর এলে তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে৷ আরও পড়ুন-West Bengal Monsoon: দিনভর বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতা, শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে
ঘাতক অটোটিকে বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মঙ্গলবার অটোটি চুরি যায়৷ পরের দিন বুধবার সকাল ৫টা বেজে আট মিনিটে অটোটি বিচারককে ধাক্কা মারে৷ পরে সকাল সাড়ে নটা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই বিচারক৷ মৃত জেলা জাজের অধীন ১৫টি ফৌজদারী মামলা চলছিল৷ যার মধ্যে হাইপ্রোফাইল খুনে মামলাও রয়েছে৷ বিচারকের মৃত্যুর বিষয়ে নজর রেকে দেশের শীর্ষ আদালতও৷