নতুন দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জনমনে ক্ষোভের শেষ নেই। গোটা দেশ এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে। দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গ অসম থেকে ত্রিপুরা ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সর্বত্র। প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কয়েকটি ট্রেন জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা রেল স্টেশন ও উলুবেড়িয়া ভাঙচুর চালানো হয়। কৃষ্ণপুর স্টেশনে পাঁচটি ট্রেনে পর পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া টিকিট কাউন্টার থেকে টাকা লুট করার অভিযোগও উঠেছে। আর এনিয়েই রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাড়ি (Minister Suresh Angadi) বলেছেন,“আমি মন্ত্রী হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিচ্ছি, কেউ যদি ট্রেনে ঢিল ছোড়ে বা রেলের সম্পত্তি (Railway Property) নষ্ট করে, তা হলে দেখামাত্রই গুলি করুন ('Shoot Them at Sight)।”
এমনিতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলছে বাংলা থেকে দিল্লিতে। তার উপর মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন খোদ রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাড়ি। তাঁর এ ধরনের নির্দেশ দেওয়ার অধিকার রয়েছে কিনা তা পরের কথা। প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য কি আদৌ করতে পারেন? রেলের সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখার উপায় কি দেখামাত্র গুলি করা হতে পারে! এর আগে ইউপিএ জমানায় রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি। মুর্শিদাবাদে একাধিক রেল স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে এসব থামাতে চেয়েছেন। সেদিক থেকে অঙ্গাড়ির বক্তব্যের সঙ্গে অধীরবাবুর বক্তব্যের তফাত স্পষ্ট। আরও পড়ুন-7th Pay Commission: দুর্মূল্যের বাজারে সুখবর, সপ্তম বেতন কমিশন বলবৎ হতেই রেলের কর্মীদের বেতন বেড়েছে; জানালেন পীযূষ গোয়েল
#WATCH Union Min of State of Railways, Suresh Angadi speaks on damage to properties. Says "...I strictly warn concerned dist admn&railway authorities, if anybody destroys public property, including railway, I direct as a Minister, shoot them at sight..." #CitizenshipAmendmentAct pic.twitter.com/VeUpZY7AjX
— ANI (@ANI) December 17, 2019
প্রসঙ্গত, রেল প্রতিমন্ত্রী এদিন বলেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। সংখ্যালঘুদেরও অনেকেই বিষয়টি না বুঝেই তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কিন্তু এই আইনের ফলে দেশের কোনও নাগরিকের কোনও ক্ষতি হবে না। এর পরেই তিনি রেলের উপর হামলার প্রসঙ্গ তোলেন ও রেলের সম্পত্তি নষ্ট করলে দেখামাত্রই গুলি করার দাওয়াই দেন। তাঁর বক্তব্য, একটা ট্রেন তৈরি করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগে। এটা করদাতাদের টাকায় তৈরি হয়। অনেকের ঘামও রয়েছে এর পিছনে। এভাবে কেউ রেলের সম্পত্তির উপর তাণ্ডব চালাতে পারে না।