প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: দেশজুড়ে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতির জেরে দেশবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে। এতকিছু মধ্যেও বেশ স্বস্তিতে রেলকর্মীরা। কেননা তাঁদের জন্য আগেই পাস হয়ে গিয়েছে সপ্তম বেতন কমিশন (7th CPC)। এরফলে নিচু তলার কর্মী থেকে উপরমহল রেলের সব স্তরের কর্মীদেরই বেতন বেড়ে গিয়েছে সম্মানজনক হারে। তাই এই দুর্মূল্যের বাজারেরও রেলকর্মীদের পরিবারের মুখে নেই দুশ্চিন্তার ছায়া। সপ্তম বেতন কমিশনের বদান্যতায় ভারতীয় রেলকর্মীদের বেতন ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৬ শতাংশ হয়েছে। সম্প্রতি সংসদে রেলমন্ত্রী পিযূষ গোয়েল (Railway Minister Piyush Goyal) বলেছেন, সপ্তম বেতন কমিশনের সৌজন্যে রেলের নিচু তলার কর্মীদের বেতন ১৪ শতাংশ বেড়েছে। আর কর্তাব্যক্তিদের বেতন বেড়েছে ২৬ শতাংশ।

এরফলে রেলকর্মীদের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা মন্দায় পর্যবসিত হয়নি। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হওয়ার পরে রেলের পরিচালনার খরচ বেড়েছিল ১৫ শতাংশ। তবে সপ্তম পে কমিশন চালু হওয়ার পর রেলের পরিচালন ব্যয় বেড়েছে একলাফে ২২ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যণীয় যে উৎসবের মরশুমে রেলকর্মীদের লোভনীয় বোনাস দেয় ভারতীয় রেল। প্রত্যেক কর্মীই ৭৮ দিনের কাজের হিসেব অনুযায়ী বোনাস পেয়ে থাকেন। এর ফলে ১১ লক্ষেরও বেশিকর্মী এই বোনস পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। আর কর্মীদের লোভনীয় বোনাস দিতে গিয়ে রেলের কোষাগার থেকে খসে গিয়েছে ২০২৪ কোটি টাকা। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: দেশ জ্বলছে আর পোশাক দেখে মানুষ চেনাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, যাঁরা টুপি পরেন না তাঁরা সবাই ভাল? প্রশ্ন তুললেন মমতা

পীযুষ গোয়েল সংসদে বলেন. আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রেলে চার লক্ষেরও বেশি কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বর্তামনে রেলের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৫.৬ লক্ষ।যার মধ্যে স্থায়ী পদের সংখ্যা ১২.২৩ লক্ষ। এরমধ্যে ২.৮ লক্ষ পদে কোনও কর্মচারী নেই। এই শূন্যপদ পূরণের সময় এসে গিয়েছে। এবং আগামী বছরের মধ্যে রেলে ৯৯ হাজার শূন্যপদ তৈরি হবে। এতবড় একটা সংস্থা সেখানে তো হুট বলতে কর্মী নিয়োগ সম্ভব নয়।  এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে রেলে ১ লক্ষ ৫১ হাজার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।