পুনে, ১ ডিসেম্বর: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত হয়েছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। ভারতে এর ট্রায়ালের পূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এদিকে কোভিশিল্ড নিয়ে নিউরো এনসেফ্যালোপ্যাথিতে ভুগছেন চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবক। এমনই অভিযোগকে এক কথায় নস্যাৎ করে দিল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিতে গিয়ে সেরামের তরফে জানানো হয়, কোভিশিল্ডের সঙ্গে চেন্নাইয়ের স্বেচ্ছাসেবকের বক্তব্যের কোনও সংযোগ নেই। কোভিশিল্ড একেবারেই নিরাপদ (Covishield Safe)। সংস্থরা সুনাম রক্ষার্থে স্বেচ্ছাসেবকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে সেরাম। বলা হয়েছে, কোভিশিল্ড নিরাপদ এবং ইমিউনোজনিক। চেন্নাইয়ের স্বেচ্ছসেবকের সঙ্গে ঘটা ঘটনাটি কোনও ভাবেই প্রতিষেধকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
এসব ক্ষেত্রে সমস্ত রেগুলেটরি ও গাইডলাইন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যেই সংস্থার কাছে ৫ কোটির ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের এক ডোজ নেওয়ার পরেই পরেই স্নায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়েছে তাঁর। এই অভিযোগকে দূষিত প্রকৃতির ভুল ধারণা হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সংস্থার বদনাম করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে ওই স্বেচ্ছাসেবকের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির ক্ষতিপূরণ চেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। স্বেচ্ছাসেবকের আইনজীবী জানিয়েছেন, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া তাঁর মক্কেলকে ভয় দেখিয়ে ১০০ কোটির ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠিয়ে। তাই সুনাম রক্ষার্থে পাল্টা নোটিস দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবককে। কারণ অন্যায়ভাবে সংস্থাকে বদনাম করা হচ্ছিল। আরও পড়ুন-Rahul Roy Health Update: ব্রেন স্ট্রোকের অভিঘাতে ডান হাতে জোর পাচ্ছেন না আশিকি অভিনেতা রাহুল রায়, জানালো হাসপাতাল
জানা গিয়েছে, বছর ৪০-এর ওই স্বেচ্ছাসেবক একজন বিজনেস কনসালট্যান্ট। তিনি আইনি নোটিস পাঠিয়ে বলেছেন. তিনি ও তাঁর পরিবার যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে তাঁর ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত। নোটিস অনুসারে ওই স্বেচ্ছাসেবক নিউরো এনসেফ্যালোপ্যাথিতে ভুগছেন। তাঁর অভিযোগ, গত ১ অক্টোবর তিনি কোভিশিল্ডের একটি ডোজ নিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতি তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।