Operation Blue Star Anniversary: অপারেশন ব্লু স্টার-এর বর্ষপূর্তিতে অশান্তির আশঙ্কা! কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে পাঞ্জাব
Photo Credits: ANI

অমৃতসর: ১৯৮৪ সালের ১ জুন খালিস্তান অর্থাৎ হিন্দুমুক্ত পাঞ্জাবের দাবিতে স্বর্ণমন্দির ও অকাল তখত দখল করে রাখা এবং অবিভক্ত পাঞ্জাবে অশান্তি ছড়ানোর মূল কারিগর জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে এবং তার অনুগামীদের দমন করতে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব তুলে দেন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এই অপারেশনের কোড নেম দেওয়া হয় অপারেশন ব্লু স্টার (Operation Blue Star)। ৬ জুন রাতে জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে সেনার গুলিতে খতম হয়। আর সাত জুন সকালে অপারেশন ব্লু স্টার-এর সমাপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়। উভয়পক্ষের লড়াইয়ের ফলে মোট ৮৩ জন সেনা কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। আর জঙ্গি-সহ অন্যান্যরা মারা গেছেল ৪৯২ জন।

তারপর থেকে মাঝে মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে খালিস্তান অর্থাৎ আলাদা পাঞ্জাবের দাবিতে তৈরি হওয়া সেই আন্দোলন। কিছুদিন আগেই পাঞ্জাবে (Punjab) ফের খালিস্তানের দাবিতে আন্দোলন শুরু করা অমৃতপাল সিং-কে স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের সমেত গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে ওয়ারিস দ্য পাঞ্জাবের প্রধান অমৃতপাল ও তার অনুগামীদের ঠাঁই হয়েছে অসমের ডিব্রুগড় জেলে। বিষয়টি নিয়ে পাঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্তে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

এর মাঝেই আগামী সাত জুন অপারেশন ব্লু স্টার-এর সমাপ্তির ৩৯তম বর্ষপূর্তি (Operation Blue Star anniversary) হতে চলেছে। অমৃতপাল সিং-এর জ্বালিয়ে দেওয়া খালিস্তানের দাবিতে আন্দোলনের আগুন এই পরিস্থিতিতে যাতে ফের মাথাচাড়া না দিতে পারে তার জন্য তৎপর হয়ে পড়েছে পাঞ্জাবের আপ সরকার (Punjab's AAP Government)।

রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI)-এর টুইটার পেজে পোস্ট করা প্রতিবেদন ও ছবি থেকে জানা গেছে, পাঞ্জাবের সমস্ত প্রান্তে প্রশাসনিক কর্তারা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। স্বর্ণমন্দির (Golden Temple)-সহ পুরো অমৃতসর শহর (Amritsar City) এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা রাজ্য কার্যত ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে (Security heightened)।

রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন করে পাঞ্জাব পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) অর্পিত শুক্লা বলেন, আমি মানুষের কাছে শান্তি বজায় (maintain peace) রাখার আবেদন জানাচ্ছি (appeal)। যারা অযথা গুজব (spreading rumours) ছড়িয়ে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।