নতুন দিল্লি, ১ অক্টোবর: বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে মৃত নির্যাতিতার বাড়িতে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Rahul And Priyanka Gandhi)। মূলত মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই তাঁদের এই সফর। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে এই দুই কংগ্রেস নেতৃত্ব আদৌ দেখা করার অনুমতি পাবেন কি না সে বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে গোটা হাথরাস জেলায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। জেলার সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ১৪৪ ধারা জারির ফলে কোথাও চারজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। জেলা শাসক জানিয়েছেন, এই গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তের জন্য যে সিট গঠন করা হয়েছে, তার সদস্যরা আজ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
হাথরাসের জেলাশাসক পি লস্কর আরও বলেন, “জেলাজুড়ে ১৪৪ ধরা জারি হয়েছে। সীমান্ত সিল করা হয়েছে। কোথাও ৫ জন জমায়েতের অনুমতি নেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর আসার খবর আমাদের কাছে নেই। সিটের সদস্যরা আজ মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।তবে ঘটনাস্থলে সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রতিনিধিকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।” নির্যাতিতার দেহ জোর করে পুড়িয়ে দেওয়ার পর কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কেন শেষকৃত্যের সময় মৃতার পরিবারকে আটকে রাখা হল, যোগীর কাছে প্রশ্ন করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “যোগী আদিত্যনাথের এই বেলা পদত্যাগ করা উচিত। নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার বদলে যোগীর সরকার সর্বোতোভাবে তাঁদের বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তার মানবাধিকার ছিন্ন করা হয়েছে। এমনকী মৃত্যুতেও নির্যাতিতা অধিকার বঞ্চিতদের দলেই পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার যোগী আদিত্যনাথের নেই।” আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ১ দিনে সংক্রামিত ৮৬ হাজার ৮২১ জন, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ৬৩ লাখ
হাথরাসে জারি ১৪৪ ধারা
Borders of Hathras are sealed. Section 144 of CrPC has been imposed in the district, more than 5 people are not allowed to gather. We've no information about Priyanka Gandhi's visit. SIT will meet the victim's family members today, media will not be allowed: Hathras DM P Lakshkar pic.twitter.com/bU3MXLre7x
— ANI UP (@ANINewsUP) October 1, 2020
বোন প্রিয়াঙ্কার পথ অনুসরণ করে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে আঘাত শানিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। যোগী সরকার দলিত বিরোধী। “বিজেপির জমানায় উত্তরপ্রদেশে যা ঘটেছে তা লজ্জাজনক। দলিতদের দমন করাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের লক্ষ্য। সমাজে তাদের জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছে সরকার। বিদ্বেষমূলক ভাবনার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।”