বিতর্কিত অপসারিত আইপিএস অফিসাক সঞ্জীব ভাট। (Photo credit: PTI)

আমেদাবাদ, ২০ জুন: ৩০ বছরের পুরনো এক মামলায় গুজরাটের বিতর্কিত আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট (Sanjeev Bhatt) কে যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি দিল আদালত। আজ বৃহস্পতিবার গুজরাটের এক আদালত রাজ্যের আইপিএস অফিসার সঞ্জীবকে ৩০ বছরের পুরনো এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা শোনায়। ১৯৯০ সালে এক বন্দি মৃত্য়ুর ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত সঞ্জীব ভাটের যাবজ্জীবন কারদণ্ড হয়।

১৯৯০ সালে জামনগরে এক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় পুলিশ কর্তার ভূমিকায় থাকা সঞ্জীব ভাটকে শাস্তি দেওয়া হল। ১৯৯০ সালে জামনগরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর দায়ে শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেন সঞ্জীব। তাদের মধ্য়ে একজন হাসপাতালে সন্দেহজনকভাবে মারা যান। সেখানেই ১৯৮৮ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার সঞ্জীবের ভূমিকায় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের কথা সহ, তদন্তকারীদের রিপোর্টের পর বিতর্কিত এই অফিসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানা হল। আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে চার দিনের শিশুর মৃত্য়ুতে কাঠগড়ায় যোগী আদিত্যনাথের সরকার

সঞ্জীব ভাট আরও ১১ জন প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দিতে নিতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চাইলেও তার আবেদন খারিজ হয়। গুজরাট পুলিশ সঞ্জীবের বিরুদ্ধে কেসটিকে বিলম্বিত করার অভিযোগ তোলে।

২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কেস ফাইল করা সঞ্জীব বারবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন। ২০১১ সালে তাঁকে কর্তব্যে গাফলতি, অফিসের গাড়ির অপব্যবহারের অভিযোগে সাসপেন্ড করে গুজরাট সরকার। ২০১৫ সালে তাঁকে পুরোপুরি অপসারিত করা হয়। সঞ্জীবের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলার কারণেই বারবার তাঁকে এবাবে ফাঁসানো হয়েছে।