নতুন দিল্লি, ২ এপ্রিল: আবগারি নীতি মামলায় বড় স্বস্তি আম আদমি পার্টিতে। ৬ মাস জেলে থাকার পর জামিন পেলেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। দিল্লির আবগারী নীতি ঘুষ মামলায় তিনি অর্থ পাচার করেছেন সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ইডি বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেও, প্রমাণ হিসেবে সেভাবে কিছুই জমা দিতে পারেনি। তাই আপ সাংসদের সঞ্জয়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় জেল খাটছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এখন প্রশ্ন, সঞ্জয় সিং-য়ের পর কি কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়-রও জামিন পাবেন? ১৪ এপ্রিলের পর কেজরিকে জেলে আটকে রাখার যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ দেখাতে পারবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? ভোটের আগে কেজরি মুক্তি পেয়ে প্রচার করার সুযোগ পেলে তাতে যে বিজেপির ওপর চাপ বাড়বে তা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই।
সঞ্জয়ের মুক্তিতে ইডি তদন্তকারীদের ওপর চাপ বাড়ল। কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরিষ্কার, আপ নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক যত অভিযোগই আনা হোক, প্রমাণের বিষয়ে কিন্তু এখনও পিছিয়ে রয়েছে ইডি। সঞ্জয় সিংয়ের জামিনের আবেদনের মামলায় রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তাঁর কাছ থেকে কোনও অর্থ উদ্ধার হয়নি। তদন্তের জন্য এখন আর জেলে থাকার প্রয়োজন নেই। সঞ্জয়ের জামিনের আবেদনের আর বিরোধিতা করেননি ইডির আইনজীবী। আরও পড়ুন-বুদ্ধিহীন চিন, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, কড়া ভারত
দেখুন খবরটি
The Supreme Court on Tuesday (April 2) granted bail to Aam Aadmi Party (AAP) leader Sanjay Singh in the money laundering case related to the Delhi liquor policy case, after a concession was made by the Directorate of Enforcement.
Read more: https://t.co/Q2c56KEQCu#SupremeCourt… pic.twitter.com/PCkkdnTs1I
— Live Law (@LiveLawIndia) April 2, 2024
গত বছর ৪ অক্টোবর আবগারি মামলায় সঞ্জয় সিং-কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এই মামলায় ইডির বিস্ফোরক দাবি ছিল ২০২১-২২ দিল্লি আবগারি নীতিতে কিছু বদল এনে মদ ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কাজ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সহ আপ মন্ত্রী-জনপ্রতিধিরা। এই নীতির বদলের বিনিময়ে মদ ব্যবসায়ীদের থেকে কোটি কোটি টাকার ঘুষ নিয়েছিলেন আপ নেতারা। এমন দাবি করে ইডি। তার ভিত্তিতেই মণীশ সিসোদিয়া থেকে সঞ্জয় সিং, খোদ কেজরিওয়ালকেও জেলবন্দি করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু আপ স্পষ্ট করেছে, এসবই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য নোংরা ষড়যন্ত্র। সপ্তাহ দুয়েক আগে জেল থেকে সাময়িক রেহাই নিয়ে তিনি ফের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সার্টিফিকেট নিতে সরকারী দফতরে এসেছিলেন।