Gurmeet Ram Rahim Singh (Photo Credits: ANI)

রোহতাক, ৭ ফেব্রুয়ারি: ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত যাবজ্জীবন জেলের সাজা থাকলেও আচমকাই জেল থেকে ২১দিনের জন্য ছাড়া পাচ্ছেন স্বঘোষিত গডম্যান গুরমিত রাম রহিম সিং (Gurmeet Ram Rahim)। ২০২২ সালে তার ম্যানেজারকে খুন, সাংবাদিককে খুন, ধর্ষণের মত দোষ প্রমাণের পর ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা হওয়া রাম রহিম বুক ফুলিয়ে হরিয়ানার রোহতাকের জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন। ২০১৭ সাল থেকে জেলে বন্দি রাম রহিম।  গত বছর,  অক্টোবরে  সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতেতাঁর যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়। ডেরা সাচ্চা সওদা (Dera Sacha Sauda)-র প্রধান গুরমিতকে তিন সপ্তাহের জেল থেকে ছাড়াকে আইনি ভাষায় বলে 'ফুরলোফ' ( furlough)। একেবারে বিশেষ কারণেই এই জামিন দেওয়া হয়।

পঞ্জাব ভোটের আগে গুরমিতের জেল থেকে ছাড়া পাওয়া নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। পঞ্জাবের মালওয়া অঞ্চলে গুরমিত রাম রহিমের সংগঠনের ভাল প্রভাব আছে। বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় জেল থেকে বেরিয়ে পাশের কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবে গুরমিত ভোটে কতটা প্রভাব ফেলেন সেটাই দেখার। পঞ্জাবে ভোটগ্রহণ ২০ ফেব্রুয়ারি। ঠিক তার পরেই রাম রহিমকে জেলে ফিরতে হবে। আরও পড়ুন: কর্ণাটকে হিজাব পরে কলেজে এলেই পৃথক ক্লাসরুমে পাঠানো হচ্ছে পড়ুয়াদের

দেখুন টুইট

ডেরা সচ্চা সওদা প্রধানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশের পাশাপাশি ৩১ লক্ষের জরিমানাও করা হয়েছে। গুরমিত রাম রহিমের পাশাপাশি তাঁর সহযোগী আরও ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালতের তরফে।

২০০২ সালের এক খুনের ঘটনাতেই গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ওই সালে গুরমিত রাম রহিমের এক শিষ্যের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত রণজিৎ সিংয়ের ছেলে গুরমিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গুরমিত রাম রহিম শিষ্যদের সঙ্গে কুকর্ম চালাতেন। এমন খবর ফাঁসের পিছনে রণজিৎ সিংয়ের হাত ছিল। এমন আশঙ্কার পরই রণজিৎ সিংকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ডেরা সচ্চা সওদার মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকেই রণজিৎ সিংয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই রণজিৎ সিংয়ের ছেলে গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে দায়ের করেন মামলা।