নতুন দিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি: ইঁদুর কুকুরের মতো যখন মানুষ দিল্রি উত্তর পূর্ব এলাকায় রীতিমতো কামড়া কামড়ি করে বেড়াচ্ছে। যখন সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে রাজধানীতে। তখন নতুন মুস্তাফাবাদের মতো মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতেও ভয়ে পেয়ে কুঁকড়ে যাননি একমাত্র হিন্দু বাসিন্দা রামসেবক শর্মা (Ram Sevak Sharma)। তিনি তো ভয় পাননি, পরে বলেছেন ভয় পাওয়ার মতো কোনও কারণ তাঁর এলাকায় ঘটেনি। তাই বাড়ি ছেড়ে অন্য কোনও নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার দরকার তাঁর হয়নি। তিনি নিজের এলাকাতেই নিরাপদ আছেন। তিনি ৩৫ বছর ধরে ওই এলাকার বাসিন্দা। সবাই প্রায় মুসলিম প্রতিবেশী। সুখে দুঃখে একসঙ্গে থেকেছেন। কেউ একজন একদিনের জন্য এসে আকাশে বাতাসে হিংসার সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে গিয়ে চলে গেল, আর এতদিনের সম্পর্ক তারজন্য মিথ্য হয়ে যাবে তা হতে পারে না।
গত তিন চারদিন ধরে উত্তর পূর্ব দিল্লির মানুষকে হিংসা তাড়া করে ফিরেছে। যেন বাড়ি বয়ে এসে প্রাণ নিয়ে যাবে। তবে একটি বারের জন্যও ভয় পায়নি নতুন মুস্তাফাবাদের নেহেরু বিহারের ১৫ নম্বর গলির বাসিন্দা রামসেবক শর্মার পরিবার। বার বার মুসলিম প্রতিবেশীরা এসে বলে গিয়েছেন ভয় পাবেন না। এদিন রামসেবক শর্মা এএনআই-কে বলেন, “ আমরা হিন্দু মুসলিম এই শব্দিদুটিকে নিয়ে আলাদা করে বাবি না। ৩৫ বছর ধরে এই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় আছি। মাত্র দুতিন ঘর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এতদিন কোনওরকম খারাপ ঘটনা আমাদের সঙ্গে ঘটেনি। কখনও মনে হয়নি আমরা আলাদা। কোনও আমরা ওরার পার্থক্য আমাদের মধ্যে নেই।” আরও পড়ুন-Nirbhaya Case: ফাঁসি নয় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হোক, শীর্ষ আদালতে আবেদন নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনি পবন গুপ্তার
Ram Sevak,a resident of Shiv Vihar: I am living here for the past 35 years.There are only one or two houses of Hindus in this bylane,but we never faced any problem. At time of violence,my Muslim brothers assured me that 'Uncle ji sleep well,there will be no harm'.#Delhiviolence pic.twitter.com/Q6mkKPFJmn
— ANI (@ANI) February 28, 2020
তিনি আরও বলেন, “হিংসায় দিল্লি যখন জ্বলছে তখন প্রতিবেশীরা এসে বলেছেন, কোথাও যাবেন না। ভয়ের কিছু নেই। আমরা পাহারায় আছি। তাঁরা সারারাত পাহারায় থেকেছেন। আর আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছি। না এর থেকে নিরাপদ জায়গা আর কিছু আমদের নেই। এখানে ভাল আছি অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আর ছেলের বন্ধুবান্ধবরাও সব এখানকার বাসিন্দা।”