নতুন দিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি: আজ রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আজ রাজ্যসভায় অধিবেশনে জানান,'এমএসপি (MSP) ছিল, আছে আর থাকবে।' পাশাপাশি এও জানান,‘আলোচনার রাস্তা সবসময় খোলা আছে। আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুন, আন্দোলন প্রত্যাহার করুন।‘ ‘এতদিন শ্রমজীবী, বুদ্ধিজীবীর কথা শুনেছি। এখন নতুন এক শ্রেণি হয়েছে, তাঁরা আন্দোলনজীবী। আমাদের সেইসব মানুষকে খুঁজে বের করতে হবে। দেশকে আন্দোলনজীবীদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় ক্ষুব্ধ হন কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত। এর পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বললেন এমএসপি আছে, থাকবে। একথা বললেন না যে এমএসপি নিয়েই একটি আইন আসবে। দেশ বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে চলতে পারে না, এটি সংবিধান ও আইন নিয়ে চলে। আরও পড়ুন, রাজ্যসভায় নেতাজির প্রসঙ্গ টেনে বাংলাকে খোঁচা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির; উঠে এল কৃষক সম্মান নিধি যোজনা প্রসঙ্গও
আজ কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'কৃষক আন্দোলন নিয়েও অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষিমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছে না।' পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষকদের নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত তা তথ্য দিয়ে সামনে তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেছেন,'দেশে ৩৩ শতাংশ কৃষকের কাছে জমি ২ বিঘের কম। ১৮ শতাংশ কৃষকের কাছে ২-৪ বিঘে জমি আছে। আজ দেশে ছোট কৃষকের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। ৮৬ শতাংশ কৃষকের জমি ২ হেক্টরের কম। এমন কৃষকের সংখ্যা দেশে ১২ কোটির বেশি। এই ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্পর্কে চিন্তা আমাদের করতে হবে। ক্ষুদ্র কৃষক ঋণ মকুবের সুবিধা পান না। কারণ তাঁদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই। সেচের সুবিধাও ক্ষুদ্র কৃষকদের ভাগ্যে নেই। বিমার সুবিধাও ক্ষুদ্র কৃষকরা পান না ২০১৪-র পর ফসল বিমার আওতায় ক্ষুদ্র কৃষকদের আনা হয়েছে। ছোট কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন।' আরও জানান, এমএসপি ছিল, আছে এবং থাকবে।