সুষমা স্বরাজের শেষকৃত্য়ে তাঁর স্বামী ও কন্যা। (Photo Credits: ANI)

নয়া দিল্লি, ৭ অগাস্ট: বুধবার দুপুরে একেবারে আবেগমথিত পরিবেশ দিল্লিতে বিজেপি (BJP)-র সদর দফতরে। গতকাল বিকেলেও যে পার্টি অফিসে জম্মু-কাশ্মীর ইস্য়ু, ৩৭০ ধারা নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছিল, সেইখানেই আজ শোকের ছায়া। প্রিয়-কাছের নেত্রী সুষমা স্বরাজের (Sushma Swaraj) দেহ পার্টি অফিসে আসতেই চোখে জল বিজেপি নেতা-কর্মীদের। সুষমা স্মৃতি বিহ্বল বিজেপি নেতাদের কেউ শোকে পাথর হয়ে কেউ কথা বলার মত অবস্থায় ছিলেন না।

তেরেঙ্গা পতাকায় মুড়িয়ে সবুজ শাড়িতে সুষমা স্বরাজকে শেষবারের জন্য নিয়ে আসা হয় দলের সদর দফতরে। ঘণ্টা তিনেক পার্টির সদর দফতরে থাকার পর, শেষবারের মত যখন সুষমা স্বরাজের মৃতদেহ পার্টি অফিস ছাড়ল তখন আবেগের মাত্রা ছাড়াল। আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি, গেজেট প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

সুষমা স্বরাজের দেহ কাঁধে তুলে নিলেন কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবীশঙ্কর প্রসাদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লালকৃষ্ণ আদবানি হাত ধরাধরি করে চললেন সুষমার শেষকৃত্যে যোগ দিতে। দূরে দাঁড়িয়ে বেঙ্কাইয়া নাইডুকে দেখেই মনে হল কষ্টে ভেঙে পড়েছেন।

পিছনে পিছনে হাজারো বিজেপি নেতা-কর্মী-জনপ্রতিনিধিরা। শুধু বিজেপি কর্মী কেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ সুষমার শেষযাত্রায় আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কাঁদলেন। বুধবার সকালে সুষমা স্বরাজের নয়াদিল্লির বাসভবনে গিয়ে প্রয়াত নেত্রীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রয়াত নেত্রীকে সামনে দেখে এবার আর চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না মোদি। চোখের জল বের হতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদির চোখ থেকে।

কাছের মানুষ সুষমা-কে শেষ দেখা দেখতে যান লালকৃষ্ণ আদবানীও। সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে আদবানী বলেন, ''যুবসমাজের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিলেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। অসাধারণ তাঁর বলার ক্ষমতা।'' তাঁর চলে যাওয়া যে দলের পক্ষে কতটা অপূরণীয় ক্ষতি,সেটাও বলেন বিজেপি-র লৌহপুরুষ।