
ইন্দোর, ৯ জুনঃ মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরের (Indore) বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী (Raja Raghuwanshi)। সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে মেঘালয়ে (Meghalaya) মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই স্ত্রী সোনম রধুবংশীর ভাড়া করা খুনিরা খুন করেছে রাজাকে। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত সোনম-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে রাজার অটোপসির রিপোর্ট হাতে এসেছে পুলিশের। নিহত যুবকের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ, মাথায় দুটি বড় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যার মধ্যে একটি আঘাত সামনে থেকে এবং একটি আঘাত পিছন দিক থেকে করা হয়েছে।
স্ত্রীর পরকীয়াই রাজার মৃত্যু কারণ
বিয়ের পর মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে শিলংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে হঠাৎই রাজা এবং তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী নিখোঁজ হয়ে যান। যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ পুলিশের দারস্ত হয় দুই পরিবার। দম্পতিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। চেরাপুঞ্জি জঙ্গলের গভীর খাদ থেকে মেলে রাজার মৃতদেহ। তবে এই ঘটনার মূল রহস্য তৈরি হয় সোনম নিখোঁজ থাকায়। রাজা এবং সোনম দুজনেই একসঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন। অথচ রাজার মৃতদেহ মিললেও সোনমের কোন খোঁজ না মেলায় অনুসন্ধানকারী দলের কাছে বিষয়টি আরও সন্দেহভাজন হয়ে ওঠে। এরপরেই ঘুরে যায় গোটা ঘটনা।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুর নন্দগঞ্জ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সোনম। রাজার দেহ উদ্ধারের এক সপ্তাহ পর পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন সোনম। এদিকে রাজা রঘুবংশী হত্যা-কাণ্ডে পরকীয়ার হদিস মিলেছে। মেঘালয় পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছে, বছর ২৪-এর সোনমের রাজ কুশওয়াহা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। গ্রেফতার হওয়া চারজনের মধ্যে রাজও রয়েছেন। অন্য তিন অভিযুক্তরা হলেন, আকাশ রাজপুত, বিকাশ ওরফে ভিকি, আনন্দ এবং চতুর্থজন সোনম।