প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২০ জানুয়ারি: বিধানসভা নির্বাচনের আগেভাগে ভোট রাজনীতিতে তুরুপের তাস নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)। দুদিন পরেই তাঁর জন্মদিনে কলকাতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি। তার আগেভাগে সুভাষচন্দ্রের ১২৫-তম জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালো রেলমন্ত্রক। হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলে রাখা হল নেতাজি এক্সপ্রেস। এই দিন জরুরি ভিত্তিতে টুইট করে এই নাম বদলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। একই সঙ্গে সমস্ত ডিভিশনের রেলের জেনারেল ম্যানেজারদের কাছে এই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একদিন আগেই ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। ঠিক তার পরেপরেই হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলে যাওয়ার ঘটনাতে রাজনৈতিক অনুষঙ্গ দেখছে ওয়কিবহাল মহল। আরও পড়ুন-Jack Ma Makes First Public Appearance: অবশেষে প্রকাশ্যে আলিবাবা-র কর্ণধার জ্যাক মা, গ্রামীণ শিক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করলেন বৈঠক

এদিকে পরাক্রম দিবস না পসন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মনে করেন দেশনায়ক দিবস নামটি যথাযথ। এবং একই সঙ্গে তাঁ ঊষ্মা, এখনও কেন কেন্দ্র ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করল না। তিনি কবে এই দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ফরওয়ার্ডব্লক চাইছে নেতাজির জন্মদিনটি দেশপ্রেম দিবস হিসেবে চিহ্নিত ও পালিত হোক। বামনেতা সুজন চক্রবর্তীও একযোগে সেই দাবি তুলে বলেন, নেতাজির জন্মদিনকে ঘিরে রাজনীতিতে নেমেছে কেন্দ্রের মোদি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকার। নেতাজির পরিবারের সদস্য তথা ভাইপো শিশির বসুর ছেলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডিনার অধ্যাপক সুগত বসু মনে করেন, নেতাজির আদর্শের পথে চলে না বিজেপি। নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর দ্বার সমস্ত ধর্মে মানুষের জন্য ছিল অবারিত। নেতাজির জন্মদিন পালনে যেন তাঁর দেশ গঠনের চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে কিছুদিন আগেই নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির শীর্ষে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কীভাবে উদযাপন করা হবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী, সারা বছরের সেই পরিকল্পনা করবেন কমিটির সদস্যরা। চলতি মাসেই এই কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। কমিটি গঠনের পর এবার পরাক্রম দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। ৮৫ জনের এই কমিটিতে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নির্মলা সীতারমণ, বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী, অধীররঞ্জন চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাংলার বিজেপি সাংসদরা। এছাড়াও আছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, এ আর রহমান, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী, অরূপ রাহা ও নেতাজির পরিবারের সদস্যরাও।