Rafale Review Plea Verdict: 'সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, রাজনীতি বন্ধ হোক', সুপ্রিম কোর্টের রাফাল রায় নিয়ে বার্তা রাজনাথ সিং, বিএস ধানোয়ার
রাজনাথ সিং ও বি এস ধানোয়া | (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৪ নভম্বর: রাফাল মামলার পুনর্বিবেচনার আবেদনে (Rafale Review Plea) সিবিআই তদন্তের (CBI probe) দাবি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের রায় স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) ও বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান বিএস ধানোয়া (BS Dhanoa)। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে শীর্ষ আদালতের এই রায় সম্পর্কে রাজনাথ সিং বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিরোধীরা যে যে অভিযোগ করেছিল তা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।" তিনি এটিকে ভুল প্রচারের বিরুদ্ধে সত্যের জয় বলেও উল্লেখ করেন। বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বৈধ্যতা পেয়েছে।" তিনি বলেন, "আমি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যে স্বচ্ছতা রয়েছে তা সুপ্রিম কোর্ট মেনে নিয়েছে।"

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রাফাল বিমান (Rafale aircraft) চুক্তির বিষয়ে তদন্তের আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই সময় তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দেন। আর এর পরই বিরোধীরা এনিয়ে আসরে নামে। বায়ুসেনা প্রধান রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন বলে দাবি করে বিরোধীরা। আজ রায় ঘোষণার পর ধানোয়া বলেন, "আমি মনে করি যে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আমি বিবৃতি দিয়েছিলাম যে সুপ্রিম কোর্ট একটি ভালো রায় দিয়েছে। সেই সময় কিছু লোক বলেছিল যে আমি রাজনীতি করছিলাম। ওরা ভুল বলেছিল।" আরও পড়ুন:  Rafale Review Plea Verdict: রাফাল মামলার সিবিআই তদন্ত নিষ্প্রয়োজন, সুপ্রিম রায়ে বিরাট ধাক্কায় কংগ্রেস

আজকের রায়ের পর রাজনাথ সিং ও ধানোয়া দু'জনেই জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ধানোয়া বলেন, "আমি আশা করি বিষয়টি এখনেই শেষ হবে। সশস্ত্র বাহিনীর স্বার্থ না দেখে রাজনৈতিক লাভের জন্য এ জাতীয় বিষয় উত্থাপন করা সঠিক নয় বলেই আমি মনে করি।" প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, "আমি মনে করি প্রতিরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। দুর্ভাগ্যক্রমে কিছু লোক ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য এটি করেছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বদনাম করারও চেষ্টা করেছিলেন। আমি বলতে চাই যে এটি বিশেষত কংগ্রেসের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এটা করেছিলেন।"