
পাহাড়ের বাসিন্দাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব হারালেন উত্তরাখণ্ডের অর্থমন্ত্রী প্রেমচাঁদ আগরওয়াল। গত মাসে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যের জবাবে উত্তরাখণ্ডের অর্থমন্ত্রী প্রেমচাঁদ বলেছিলেন, উত্তরাখণ্ড শুধু পাহাড়ীদের (পাহাড়ের মানুষের) সম্পত্তি নয়। এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন হৃষিকেশের বিজেপি চারবারের বিধায়ক। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ের মানুষদের সঙ্গে সমতলের মানুষদের মধ্য়ে কিছু বিষয়ে বিভেদের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
দলের অন্দরেও ক্ষোভ ছিল
বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের তীব্র সমালোচনায় চাপে পড়ে যায় পুষ্কর সিং ধামির সরকার। দলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল। প্রেমচাঁদের পদত্যাগের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পাহাড়ের ভোটব্য়াঙ্ক বাঁচাতে প্রেমচাঁদকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য করল বিজেপি। রবিবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন প্রেমচাঁদ আগরওয়াল। ইস্তফা দিয়ে প্রেমচাঁদের দাবি, তার মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হয়েছে। আমি পাহাড়ের মানুষের অপমান করতে চাইনি। তবে এরপরেও যদিও কেউ বা কারা যদি আমার মন্তব্যে আঘাত পায়, তাদের কাছে আমি দু:খিত ও আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।"
কে এই প্রেমচাঁদ আগরওয়াল
হৃষিকেশের চারবারের বিধায়ক। ৬৪ বছরের প্রেমচাঁদ বাণিজ্যে এমএ পাশের পর আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৭ থেকে হৃষিকেশের বিধায়ক।
উত্তরাখণ্ডে বিজেপি
৭০ আসনের উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় শাসক দল বিজেপির মোট ৪৭ জন বিধায়ক আছে। সেখানে কংগ্রেসের ১৯, বিএসপি-র ২ ও দু জন নির্দল বিধায়ক আছেন। গত আট বছর ধরে উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় আছে বিজেপি।