Representational Image (Photo Credits: PTI)

চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে হাসপাতালের মধ্যে মৃত্যু হল এক গর্ভবতী মহিলার। এমনটাই অভিযোগ তুলল বছর ২৩-এর দিল্লি নিবাসী মনু কুমারীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি সরকারের অধীনস্ত মদন মোহন মালভিয়া হাসপাতালে (Pandit Madan Mohan Malviya Hospital)। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি ওই মহিলা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান। সেখানে তাঁর আলট্রাসাউন্ড টেস্ট করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে প্রায় তিনঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। মোনুর স্বামী সমস্তিপুর নিবাসী সুধাকর সিংয়ের অভিযোগ, এই দীর্ঘ সময় তাঁর স্ত্রী কোথাও বিশ্রাম নিতে পারেননি।

এরমধ্যে তাঁর আলট্রাসাউনের রিপোর্ট আসে এবং চিকিৎসকরা তাঁকে এমার্জেন্সিতে গিয়ে ব্যাথা কমানোর জন্য একটি ইনজেকশন নিয়ে আধঘন্টার মতো বিশ্রাম নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তিনি এমার্জেন্সিতে ওষুধ নিয়ে কিছুক্ষণের বিশ্রাম নিতে শুয়ে ছিলেন, এমন সময় আরও একজন চিকিৎসক তাঁকে ইসিজির জন্য নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেড়টা নাগাদ পরীক্ষা করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং তাঁর গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারপর তাঁরা খবর দেয় পরিবারের কাছে।

মৃতার স্বামী জানিয়েছেন, তিনি খবর পাওয়া মাত্রই অফিস থেকে হাসপাতালে যান। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালের কোনও চিকিৎসকই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলতে পারছে না। তাঁরা একটি গর্ভবতী মহিলার ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারেননি। অবহেলার কারণে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাই সে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তবে দিল্লি মেডিকেল কাউন্সিলের থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।