কঙ্গনা রানাউত(Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ২৬ জুলাই: দেশজুড়ে ঘটে চলা হিংসাত্মক ঘটনা ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে প্রতিকারের দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। ৪৯ জনের সেই চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শ্যাম বেনেগালদের। এবার সেই ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীকে এক হাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন ৬১ জন বিশিষ্টজন। তাঁরাও দিলেন খোলাচিঠি। নরেন্দ্র মোদির জমানায় যে ভারত সু্স্থির রয়েছে তাই চিঠির মূল বক্তব্য। পাশপাশি ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীকে ‘স্বঘোষিত অভিভাবক’ বলে খোঁচা দিতে ছাড়ল না ৬১ জনের দল। আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠির শাস্তি, খুনের হুমকি পেলেন অভিনেতা কৌশিক সেন

শুধু তাইই নয়, ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী জয় শ্রী রাম ধ্বনিকে রণ হুংকার বললেন। অথচ এই জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ার অপরাধে কাউকে জেলেও পুরে ফেলা হচ্ছে। তখন কেন তাঁরা চুপ করেছিলেন। বিশেষ রাজনৈতিক দলের সুবিধা পাইয়ে দিতেই কি এই খোলাচিঠি? এনিয়েই তোপ দেগেছেন কঙ্গনা রানাউত, প্রসূন জোশী ও সোনাল মানসিংহ-রা। ৬১ জনের খোলা চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘‘উপজাতি ও প্রান্তিক মানুষরা যখন নকশালপন্থীদের হামলার শিকার হয়েছেন, তখন ওঁরা (৪৯ জন) চুপ থেকেছেন। সন্ত্রাসবাদীরা যখন কাশ্মীরে স্কুল পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তখনও ওঁরা মুখে কুলুপ এঁটে থেকেছেন। দেশকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার কোনও পরিকল্পনা, কোনও চক্রান্তের বিরুদ্ধেই ওঁদের কখনও সরব হয়ে দেখা যায়নি। দেশের কয়েকটি সামনের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন সন্ত্রাসবাদীদের স্লোগান শোনা গিয়েছে, তখনও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার প্রয়োজন বোধ করেননি ওই বুদ্ধিজীবীরা।’’

শুক্রবারের খোলা চিঠিতে মোদির জয়গান গাওয়ার পাশাপাশি আগের বুদ্ধিজীবীর দলটির কাছে প্রশ্ন রেখেছেন ৬১ জন। কেন তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে গত বছরের পঞ্চায়েত ভোটে অভূতপূর্ব হিংসার ঘটনার পরেও মুখ খোলেননি? কেন তাঁরা কিছু বলেননি পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটে হিংসার প্রেক্ষিতে? অপর্ণা, বেনেগাল-সহ ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী গত ২৩ জুলাই খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁদের ‘স্বঘোষিত অভিভাবক’ বলে কটাক্ষও করা হয়েছে।