Prajwal Revanna (Photo Credits: X)

বেঙ্গালুরু, ৭ অগাস্ট: একটি শাড়িই ভাগ্য বদলে দিল ধর্ষক প্রজ্জ্বল রেভান্নার (Prajwal Revanna)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার (H. D. Deve Gowda) নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্নার সম্প্রতি যাদবজ্জীবন কারদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২ অগাস্ট আদালতের তরফে প্রজ্জ্বলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জেডিএস (JDS)  সাংসদকে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। যে পরিচারিকাকে ধর্ষণ (Rape) করেছে প্রজ্জ্বল রেভান্না, তাঁর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই ১১ লক্ষ টাকা প্রজ্জ্বল রেভান্নার কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বলে আদালাতের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রজ্জ্বল রেভান্না ছিলেন কর্ণাটকের হাসান কেন্দ্রের সাংসদ। তার বিরুদ্ধে অধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক পরিচারিকা। অভিযোগ, প্রজ্জ্বল তাঁর উপর অত্যাচার করেছে। এমনকী প্রজ্জ্বল যে অত্যাচার করেছে, তার প্রমাণ হিসেবে সে একটি শাড়ি জোর করে বাগান বাড়ির আলমারিতে রেখে দেয়। নির্যাতিতা যদি কখনও মুখ খোলেন, তাহলে ওই শাড়ি দেখিয়ে তাঁর ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্য ছিল প্রজ্জ্বলের। যা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। সেই সঙ্গে প্রজ্জ্বল রেভান্নার জীবন কালকুঠুরিতে বন্ধ করে দেয় নির্যাতিতার ওই শাড়ি।

রিপোর্টে প্রকাশ,  পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেন, প্রজ্জ্বল যখন অত্যাচার করে সেই সময় ওই পরিচারিকা কী পরেছিলেন। যার উত্তরে বছর ৪৭-এর পরিচারিকা জানান, তিনি শাড়ি পরেছিলেন। যে শাড়ি প্রজ্জ্বল ফেরৎ দেয়নি। প্রজ্জ্বলের বাগান বাড়ির আলমারিতে ওই শাড়ি লুকনো রয়েছে বলে নির্যাতিতা দাবি করেন।

আরও পড়ুন: Prajwal Revanna Life Imprisonment: আজীবন জেলেই থাকতে হবে যৌন হেনস্থায় দোষী প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে, আদালতে কেঁদে বাঁচার শেষ চেষ্টায় ব্যর্থ

ধর্ষিতা মহিলার কথা অনুযায়ী, পুলিশ প্রজ্জ্বল রেভান্নার বাগান বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানকার একটি আলমারিতে রাখা শাড়িও উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শাড়িতে যে বীর্য ছিল, তার সঙ্গে প্রজ্জ্বলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেই ডিএনএ থেকেই প্রজ্জ্বল রেভান্নার অত্যাচার সম্পর্কে পুলিশ তথ্য এবং প্রমাণ হাতে পায়। অর্থাৎ নির্যাতিতার ওই লুকনো শাড়িই শেষ পর্যন্ত প্রজ্জ্বল রেভান্নার ভাগ্য বদলে দেয় বলে জানা যায়।

নির্যাতিতার উপর অমানষিক অত্যাচার চালিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল তাঁর শাড়ি লুকিয়ে রাখে। আর ওই শাড়িই শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন সাংসদকে জেলের কালকুঠুরিতে জীবন কাটাতে বাধ্য করল বলে মনে করছে পুলিশ।