
পহেলগামের (Pahalgam) ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে এখন যুদ্ধ যুদ্ধ রব। পাকিস্তানকে এই ঘটনার পর কড়া জবাব দিতে চায় ভারত। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাকে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। তারপর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে বেড়েছে সেনা জওয়ানদের আনাগোনা। এরমধ্যেই বিগত কয়েকদিনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। যার জবাবও দিয়েছে ভাারত। সবমিলিয়ে উপত্যকা এখন যুদ্ধের আঁচে তপ্ত হচ্ছে। এমনকী এই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানিদের। এদিকে ভারতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিশেষ করে যাঁরা সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় থাকছেন তাঁরা ইতিমধ্যেই বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
ঘরে বাইরে চাপে পড়েছে পাকিস্তান
জানা যাচ্ছে, রাজৌরি সেক্টরের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত গ্রাম নাম্বলা থেকে মানুষজনকে তাড়ের ঘরবাড়ি থেকে সড়িয়ে নিয়ে বাঙ্কারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রাজৌরির স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানেও শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ সমস্যা। একদিকে বালোচিস্তান, অন্যদিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীয় সমস্ত এলাকাতেই শুরু হয়েছে উত্তেজনা। সবমিলিয়ে চরম চাপে রয়েছে নাওয়াজ শরিফের সরকার। ফলে এটাই সঠিক সময় পাকিস্তানকে চাপে ফেলার।
চাপে পড়েছে পাকিস্তান
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে পাকিস্তানের। মোদী-শাহরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এর জবাব পাকিস্তানকে দিতেই হবে। ইতিমধ্যে সিন্ধ জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর জলকষ্টে ভুগতে শুরু করেছে পাকিস্তান। গতকাল আবার ভারতীয় আকাশসীমা পাকিস্তানি বিমানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।