মুম্বই, ২৯ অক্টোবর: ২৬ অক্টোবরের পর বেশ কয়েকটি দিন কেটে গেলেও এখনও কিন্তু সরকার গঠনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে তু তু ম্যায় ম্যায় চলছেই। উদ্ধব ঠাকরের দাবি, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করা হলে সমান সমান অংশীদারিত্ব থাকবে, দুই জোটের। অর্থাৎ আড়াই বছরের মন্ত্রীত্বের ভাগীদার শিবসেনা। ইতিমধ্যেই আদিত্য ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এই আনন্দে বিভোর হয়ে আছে শিবসেনার কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি শিবসেনার এই আব্দারে যে মোটেই খুশি নয় তা বেশ বোঝা যায়। একের পর একটা দিন যাচ্ছে কিন্তু সরকার গঠনের দ্বৈরথ থেকে দুই দলের কোনওটিই সে আঁচ থেকে বাঁচতে পারছে না। ইতিমধ্যেই শিবসেনা প্রধান অন্য জোটের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন।
সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) প্রশ্ন করেছিলেন, ভোটের আগেই বিজেপি শিবসেনার জোট হয়েছিল। তারপরে মাহেন্দ্রক্ষণে মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এই জোট। তারপরেও কেন সরকার গঠন করতে এতটা ইতস্তত করছে। প্রশ্ন উঠতেই তিনি বললেন, “এখানে কোনও দুঃষ্মন্ত নেই যাঁর বাবা এই মুহূর্তে গারদে রয়েছেন। এখানে আমরা আছি, যাঁরা ধর্ম ও সত্যকে অবলম্বন করে রাজনীতি করেন। শরদজি বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন একটি বাতাবরণ তৈরি করেছেন যে তিনি কখনও বিজেপিতে যোগ দেবেন না।আর উদ্ধব ঠাকরেজি (Uddhav Thackeray) বলেছেন, আমাদের কাছে আরও অনেক বিকল্প রয়েছে। তবে সেসব বিকল্পের দিকে গিয়ে কোনও পাপের সঙ্গে জড়াতে চাই না। শিবসেনা সবসময় সত্যের রাজনীতি করে, আমাদের ক্ষমতা পিপাসু নয়।” আরও পড়ুন-P Chidambaram Taken to AIIMS: পেটে ব্যথা, ইডির হেফাজত থেকে অসুস্থ পি চিদাম্বরমকে ভর্তি করা হল দিল্লির এইমসে
S Raut on being asked 'why it's taking time to form govt despite pre-poll alliance with BJP': There is no Dushyant here whose father is in jail. Here it's us who do politics of 'dharma & satya',Sharad ji who created an environment against BJP &Congress who will never go with BJP. https://t.co/aHADYgz6wH
— ANI (@ANI) October 29, 2019
এদিকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বিজেপি। এদিন দুই স্বাধীন বিধায়ক বিনোদ অগ্রবাল ও মহেশ বলদি (Vinod Agrawal and Mahesh Baldi) ফডনবিশ সরকারকে (Fadnavis Government) সমর্থন করেছেন। সবমিলিয়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পথে। এমতাবস্থায় শিবসেনা নেতার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ভিন্ন ইঙ্গিত পাচ্ছেন।