হরসিমরত কৌর বাদল (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রের ৩ অধ্যাদেশ কৃষক বিরোধী আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল (Harsimrat Kaur Badal)। তিনি কেন্দ্রের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী ছিলেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ হরসিমরত বাদলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ  মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় নরেন্দ্র সিং তোমরকে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও কেন্দ্রকে বাইরে থেকে সমর্থনেরও আশ্বাস দিয়েছেন হরসিমরত বাদলের স্বামী।  বৃহস্পতিবার ৭০ পেরিয়ে ৭১ বছরে পড়লেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই দিনেই ভাঙন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। কেন্দ্রের তিনটি কৃষি বিলের প্রতিবাদে ইস্তফা দিলেন এনডিএ-র অন্যতম শরিক অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল।

এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতিও দেন হরসিমরত কৌর বাদল। বলেন, “সরকারের কৃষক বিরোধী অর্ডিন্যান্স এবং আইনের প্রতিবাদে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কৃষক এবং তাঁদের ভাইবোনদের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।” যদিও আগামী দিনে এনডিএ-তে থাকা বা না থাকা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি শিরমণি অকালি দল। দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমাদের আগামী রণকৌশল কী হবে, সেই বিষয়ে পার্টির পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ কেন্দ্রের এই নয়া তিনটি বিল কৃষক বিরোধী। এই বিল পাশ হলে কৃষকদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হবে।” এদিকে কিন্তু কংগ্রেস-সহ বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ, সরকার জুন মাসে তিনটি কৃষক-বিরোধী অধ্যাদেশ জারি করেছিল। সেখানে কৃষকদের স্বার্থ না দেখে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হয়েছে। এত দিন অকালি দল তার সমর্থন করছিল। আরও পড়ুন-Chhath Puja 2020: রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়ার আবেদন খারিজ গ্রিন ট্রাইবুনালের

এখন পাঞ্জাব-হরিয়ানা থেকে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। পাঞ্জাবে কৃষক সংগঠনগুলি ২৫ সেপ্টেম্বর বনধের ডাক দিয়েছে। সেই কারণেই অকালি দল কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘চাষিদের স্বার্থ নিয়ে এত চিন্তা থাকলে অকালি দল এখনও এনডিএ-তে রয়েছে কেন?’’ সুখবীরের অবশ্য দাবি, অধ্যাদেশের আগে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে হরসিমরত চাষিদের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন।