দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি। (Photo Credit: ANI Twitter)

দিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: বাংলায় এনআরসি (NRC) হবেই, আর দুকোটি লোক চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah)  সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে একথাই বললেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ  (Dilip Ghosh)। মাত্র একদিন আগেই স্মৃতি ইরানি বলেছিলেন, বাংলায় এনআরসি হবে, এদিন যেন তাতে সিলমোহর দিলেন দিলীপ ঘোষ। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyamaprasad Mukherjee)রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেভ বেঙ্গল নামের আলোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (CM Mamata Banerjee) কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপবাবু। বৃহস্পতিবার এনআরসি-র প্রতিবাদে এক পদযাত্রায় শামিল হবেন তৃণমূল নেত্রী। আজ সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত সেই পদযাত্রা হবে।

এই পদযাত্রার খবর পেয়েই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো অভ্যাস আছে কিছু হলেই রাস্তায় নেমে পড়া। বাড়ি থাকতে পারেন না। সেই অভ্যাস বজায় রাখতেই তিনি রাস্তায় নামছেন। ২০২১ সালের পরে তো রাস্তাতেই নামতে হবে। তবে যে-ই রাস্তায় নামুক, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই।’’ সেই সঙ্গে আলোচয়ান জানিয়ে দেন, ‘‘অসমের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। তাতে প্রায় দু’কোটি মানুষ বাদ যাবে। বিদেশি নাগরিকেরা এসে রাজ্য তথা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। তা রুখতেই এনআরসি প্রয়োজন।’’ এমনিতেই সামনে বিধানসভা ভোট। ২০২১-এর এই ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দলের মধ্যেকার গৃহযুদ্ধ ভুলে বাংলার মসনদ দখল করতে চাইছেন দিলীপবাবু। দলীয় নেতৃত্ব থেকে কর্মীরা সবাইকে মাঠে নেমে কাজ করতে বলেছেন। যেনতেন প্রকারেণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে যেন বিজেপির প্রতিনিধিই বসেন। সেটাই এখন তাঁকে নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য আসন্ন দুর্গাপুজোকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি, জনসংযোগ বাড়ানোর এই সুযোগ কোনওভাবেই হাতছাড়া হতে দেওয়া যায় না। মহালয়া উপলক্ষে দিল্লি থেকে বাংলায় আসছেন জেপি নাড্ডা। অন্যদিকে এবার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনে দেখা যাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আরও পড়ুন-এনআরসি-র প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতার রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির হামলার আশঙ্কায় ব্যারিকেডে মুড়ল শহর

এদিন মূলত অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের জন্যই দিলীপের দিল্লি যাওয়া। অমিত শাহ চাইছেন, বাংলায় বিজেপির সংক্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকুক। এদিন সকালে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিল্লি যান দিলীপ ঘোষ। তাঁদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠতেই, বলেন বিমানে তো গল্প করতে করতে এলাম। শোভন-বৈশাখীর প্রসঙ্গকে প্রাইভেট বলে প্রশ্ন এড়ালেন। আর দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভবনা নিয়ে তাঁর সাফ দাবি বিজেপির সদর দপ্তর এখন পর্যটন কেন্দ্র সেখানে সবাই যায় আসে।