পুলওয়ামা হামলার পর। (File pic)

৭ মে, ২০১৯: কাশ্মীর।(kashmir) স্বর্গীয় প্রকৃতি আর বারুদের গন্ধ যাকে বলে একছত্রে সহাবস্থান। গত কয়েক দশক ধরেই কাশ্মীরের জনজীবন গোলা, গুলি আর সন্ত্রাসে বিপর্যস্ত। সীমান্তের গুলি বর্ষণে ঘুম ভাঙে এখানকার বাসিন্দাদের। চরম অস্থিরতার মধ্যেই এগিয়ে চলে জীবন। এরই মধ্যে অনেকটা ঘূর্ণাবর্তের মতোই চলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। এক লহমায় তছনচ করে যাওয়া কয়েকটা মুহুর্তের মতো এগিয়ে চলেছে এখানকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজ্যের এই অস্থির পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করেই রাজনীতির সমীকরণ তৈরি হয় এখানে। এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বরাবরই কাশ্মীর সংবেদনশীল একটি রাজ্য। যাকে নিয়ে রাজনীতি যেন কখনও শেষ না হওয়া একটি সংকটের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই কাশ্মীরে গত পাঁচ বছরে অদ্ভুত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্যস্তরে চরম রাজনৈতিক অব্যবস্থা। বিজেপি–পিডিপি জোট সরকারের ছন্দোপতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা যে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়ে তা আঁচ করা নতুন কোনও বিষয়। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি যখন দাবি করে চলেছেন রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির মুলে রয়েছে বিজেপি। ঠিক তখনই বিজেপি(BJP)ও কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে। জাতীয়বাদকে হাতিয়ার করে মুফতিকে দেশদ্রোহী প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। এরই মধ্যে পুলওয়ামা হামলা। তার পাল্টা জবাবে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক(Air Strike)। চরম সময়ে একেবারে মোক্ষম চাল। এই শক্তিশেলকে মোদি হাতিয়ার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

যদিও উপত্যকায় এই শক্তিশেল বুমেরাং হয়ে ফিরেছে মোদির কাছে। বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের উল্টো এফেক্টে হয়েছে কাশ্মীরে। আর এটাকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। তার উপর ৩৭০ বাতিল করার যে পরিকল্পনা মোদি সরকার নিয়েছে তাতে তো বেজায় চটেছেন ওমর আবদুল্লারা(Omar Abdullaha)। কাশ্মীরে একেবারে নিঃসঙ্গ লড়াইয়ে নামতে হয়েছে বিজেপিকে। যদিও জাতীয়তাবাদের এই হিড়িকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভোটটা ভাল মতই দখলে রাখবে বিজেপি এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।‌