৭ মে, ২০১৯: রাজস্থান (Rajasthan)আর মধ্যপ্রদেশ(Madhya pradesh) শাসক দলের কাছে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলা চলে। ২০১৪–র লোকসভা ভোটে যে রাজ্যগুলি বিজেপিকে একশোয় একশো দিয়েছিল তার মধ্যে রাজস্থান এবং মধ্য প্রদেশ অন্যতম। সেই একশো গত পাঁচ বছরে শূণ্যতে গিয়ে ঠেকবে না তো? এটাই এখন মোদি–অমিত শাহের (Amit Shaha)বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যেভাবে বিজেপির ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস তাতে লোকসভা ভোটে এই দুই রাজ্য নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
শচীন পাইলট আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার (Joytiraditya sindhya)মোকাবিলা করার মতো নেতা এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি বিজেপি।
কমলনাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে থেকে শিখ দাঙ্গার কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করলেও সেটা যে বড় একটা লাভজনক হবে না তা তারা বিলক্ষণ জানেন। মামাজির শিবরাজ সিং চৌহ্বানের (Shivraj singh chowhan) জনপ্রিয়তাও যে এখানে ধোপে টিকবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তার উপর কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতা দখলের পরেই একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। কৃষিঋণ মকুব করে অর্ধেক ভোট আগেই দখল করে নিয়েছে কংগ্রেস। কারণ গোটা দেশে যদি কোনও বিষয় নিয়ে মোদি সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়ে থাকেন তাহলে সেটা কৃষিনীতি। কৃষকদের ঋণ মকুব নিয়ে গোটা দেশ যেভাবে উত্তাল হয়েছে দফায় দফায় তাতে এই দুই রাজ্যও সামিল ছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান আর মধ্যপ্রদেশ থেকে একশোয় একশো পাওয়ার দুরাশা অন্তত করবেন না অমিত শাহরা।