কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর : হাজরা মোড়ে মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) উপর হামলায় মূল অভিযুক্ত তৎকালীন সিপিএম নেতা লালু আলমকে (Lalu Alam) বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। প্রমাণের অভাবেই তাঁকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। প্রায় ৩০ বছর পর এ মামলার নিষ্পত্তি হল। ১৯৯০ সালে কলকাতার হাজরা মোড়ে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জির উপর হামলা হয়েছিল। যে ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালু আলমকে। শেষমেশ সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে এ মামলায় লালু আলমকে বেকসুর খালাস করল আলিপুর আদালত।
১৯৯০ সালের ১৬ অগাস্ট প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) ডাকা বনধের সমর্থনে হাজরা মোড়ে ছিলেন মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের ক্ষমতায় তখন বামেরা। বনধের বিরোধিতায় পথে নেমেছিল বামেরা। সিপিএম নেতা লালু আলম ও তাঁর অনুগামীরা বনধ তুলতে হাজরা মোড়ে আসে। এরপর মমতার উপর লালু আলম ও তাঁর দলের লোকেরা চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মমতা ব্যানার্জির মাথায় বাঁশ দিয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলে তাঁর। ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সিপিএমের সোমনাথ চ্যাটার্জিকে হারানোর পর হাজরা মোড়ে এই হামলার ঘটনা মমতার রাজনৈতিক জীবনে অন্য মাত্রা যোগ করে৷ বাম-বিরোধী রাজনীতির মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। আরও পড়ুন : এমএস ধোনি-র অবসর জল্পনায় উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া, কোহলির টুইটের পর মাহি-র সাংবাদিক সম্মেলনের গুজব
১৯৯০ সালের ঘটনার পর একবার আদালতে সাক্ষী দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ২১ অগাস্টও তাঁর ফের একবার সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সেই স্বাক্ষগ্রহণ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু আদালতে সেই পরিকাঠামো না থাকায় সেই দিন মমতা ব্যানার্জি সাক্ষী দিতে পারেননি। যারপরই এই আবেদন আর না টানার আবেদন করা হয় আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে। আজ লালু আলমকে বেকসুর খালাস করল আলিপুর আদালত।