কলকাতা, ২৩ মে: প্রবল প্রতাপে দেশজুড়ে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। আগামী রবিবারই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। এদিকে সিউড়ি-তে বোলপুরে(Bolpur) তৃণমূলের পরিস্থিতি ভাল হলেও গোটা রাজ্যে শাসকদল যে পরাক্রমী বিজেপির মুখে পড়তে চলেছে তা একেবারে নিশ্চিত। এবং বিজেপি-কে ১০০-তে আটকে লোকসভার টেস্ট সিরিজ জেতার যে টোটকা দিয়েছিলেন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল তা কার্যক্ষেত্রে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল। ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার দলগুলি কোনও সম্মানজনক ইক্যুয়েশনে পৌঁছাতে পারছে না। মোদি, স্মৃতি, অমিত শাহ, সবাই জিতে গিয়েছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই সুর বদলে ফেললেন দিদির ভাই। তাঁর স্বীকারোক্তি, রাজ্যের নিরিখে বিজেপির ফলাফল বিচার করেছিলাম। আসলে গ্রামের ছেলে তো গুনতিতে ভুল হয়ে গিয়েছে।
গোটা ভারতবর্ষ যে বীরভূমের প্রতিকৃতি নয়, এটা নাকি বুঝতেই পারেননি অনুব্রত। কিন্তু একটু খেয়াল করলে নিশ্চই মনে পড়বে। মাস চারেক আগেই বোলপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, বিজেপি বীরভূমে প্রার্থী দেবে না। কেন্দ্রেও ক্ষমতায় আসবে না, ১০০টি আসন পায় কি না দেখো। ভোট এগিয়ে এলে নকুলদানা দেওয়ার কথাটিও সেসময়ই বলেন।
যত তাড়াতাড়ি বাংলার রাজনৈতিক ম্যাপটি প্রকট হয়ে উঠছে ততই গুটিয়ে যাচ্ছেন সেদিনের গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ও নকুদানা বিলির নায়ক। তবে বীরভূমের ফলাফল নিয়ে মাঝে উত্তেজিত হতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। বলেছেন, জেলাজুড়ে দলের যা খামতি হয়েছে তা সাংসদদের গুনে। এনিয়ে তিনি কিছু বলবেন না, দলীয় প্রার্থীদের ভুলচুকের বিষয়ে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন দিদি মানে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে জেলার দলীয় নেতৃত্বরা তাঁর থেকে কড়া বকুনি খেতে চলেছেন। মুখে না বললেও অনুব্রতবাবুর মনোভাব তাঁর ভাবভঙ্গিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে সবকিছুর উপরে যেটি আলোচনার বিষয় তা হল তিনি বেশ হকচকিয়ে গিয়েছেন। মোদির ভরাডুবি আশা করেছিলেন, সেই মোদিই কিনা সাড়ম্বরে ক্ষমতা ফিরছেন, এ আর কাঁহাতক সহ্য করা যায়, তাই না।