জয়পুর, ২১ জুলাই: রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা শচিন পাইলট ও অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শচিন পাইলট শিবিরের তরফে রাজস্থান হাইকোর্টে (Rajasthan High Court) মামলা করা হয়। আগামী শুক্রবার সেই মামলার রায় দেবে রাজস্থান হাইকোর্ট। তাই হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার অর্থাৎ ২৪ জুলাই পর্যন্ত শচিন পাইলট-সহ বাকিদের বিধায়ক পদ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না। এদিন রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রিজিৎ মোহান্তির বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতাগি ও প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে। কংগ্রেস সরকারের পক্ষে ছিলেন প্রবীণ দলীয় নেতা অভিষেক মনু সিঙভি। গত সোমবারের শুনানিতে আদালত জানায়, কোনও রাজনৈতিক দলই দলীয় বৈঠকে একশো শতাংশ উপস্থিতির জন্য পেশীর জোর দেখাতে পারে না।
আগেই গিয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ। রাজ্যসভাপতির পদও খুইয়েছেন। এবার বিধায়ক পদ যেতে বসেছে। উপায় না দেখে আদালতের (Rajasthan High court) দ্বারস্থ হলেন রাজস্থানের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা শচিন পাইলট। তবে একা নন, সহযোগী মন্ত্রী ও বিধায়কদের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজস্থান হাইকোটে এক যোগে ১৮ জন বিধায়ক মামলা করেছেন। রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষ সিপি যোশী এঁদের প্রত্যেককেই বরখাস্তের নোটিস পাঠিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের তরফে থেকেই পাইলট ও তাঁর সমর্থক নেতা মন্ত্রীদের বিধানসভা থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে গত বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হন শচিন পাইলট। আরও পড়ুন-Privatisation Of Banks: কয়লা, রেলের পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বিক্রি করছে কেন্দ্র?
#BreakingNews | In Sachin Pilot vs Congress case, court says decision on Friday. #RajasthanPoliticalCrisis pic.twitter.com/UXm3f3YI2Z
— NDTV (@ndtv) July 21, 2020
এর আগে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শচিন পাইলট জানান, “একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। বিজেপির সঙ্গে নাম জুড়ে দিয়ে আমাকে অপদস্থ করার একটা চেষ্টা চলছে। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের ক্ষমতা ফেরাতে নিদারুণ পরিশ্রম করেছিলাম। আর এখনও কংগ্রেসেই আছি।” মঙ্গলবার রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে শচিন পাইলটকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হন পাইলট ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রী বিশ্বেন্দ্র সিং ও রমেশ মীনা।