এইচডি কুমারস্বামী (Photo Credits: PTI)

বেঙ্গালুরু, ২৪ আগস্ট: হিন্দি বলতে না পারা জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ সেশন থেকে চিকিৎসককে চলে যেতে বলার অপরাধে এবার আয়ুষ মন্ত্রকের সেক্রেটারি বৈদ্য রাজেশ কোটেচার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী (HD Kumaraswamy)। পর পর টুইটের সিরিজ কুমারস্বামীর জানতে চেয়েছেন, নির্লজ্জভাবে হিন্দিরাজ প্রতিষ্ঠার প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছে বৈদ্য রাজেশ কোটেচার বক্তব্যে। আয়ুষ মন্ত্রক চিকিৎসকদরে জন্য এই করোনাকালে অনলাইন ট্রেনিং সেশনের আয়োজন করেছে। যেহেতু তিনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না। তাই যাঁরা হিন্দি বোঝেন না তাঁদের আয়ুষ মন্ত্রকের অনলাইন প্রসিক্ষণ সেশনে থাকার দরকার নেই। কুমারস্বামী জানতে চেয়েছেন, “ ইংলিশ না জানার জন্য এমন অনুরোধ নাকি নির্লজ্জভাবে হিন্দিরাজ বলবৎ করার চেষ্টা?” আরও পড়ুন-West Bengal Weather Update: ফের নিম্নচাপ, সপ্তাহভর ভারী বর্ষণে ভিজতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ

তিনি আরও বলেন, “ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এখানকার সংবিধানের মূলমন্ত্রই হল দেশের একতা। এই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার এক একটি অংশই হল বিভিন্ন ভাষা। সেই দেশে হিন্দি না জানার জন্য কোনও ট্রেনিং প্রোগ্রাম থেকে কাউকে বেরিয়ে যেতে বলা যায় না। এটাকি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অবমাননা করা নয়?  সংবিধান বিরোধী নয়? কর্মাটক-সহ আর কোন কোন রাজ্যের কতজনকে হিন্দি না জানার জন্য মাশুল দিতে হবে, জানতে চেয়েছেন কুমারস্বামী। হিন্দিরাজ প্রতিষ্ঠায় বিভোর কোটেচার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।”

এইচডি কুমারস্বামীর টুইট

এর আগেও হিন্দি বলয়ের নির্লজ্জ ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এইচডি কুমারস্বামী। তিনি বলেছেন এই কারণেই দাক্ষিণাত্যের বহু প্রতিভাবান রাজনৈতিক নেতা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। “এই হিন্দি রাজনীতিই দক্ষিণ ভারতীয় রাজনীতিকদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে সবথেকে বড় বাধার ভূমিকা পালন করেছে সবসময়। করুণানিধি ও কামারাজের মতো রাজনীতিকরা দক্ষ হয়েও দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার সুযোগ পাননি, যার নেপথ্যে এই হিন্দি রাজনীতি। যদিও সেই বাধা ভেঙে সফল হয়েছিলেন দেবেগৌড়া। তবে তারপরেও তাঁর ভাষা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে, ভিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁকে হাস্যস্পদ করে তোলা হয়েছে।”