দিল্লি, ২০ ডিসেম্বর: শুক্রবার শ্রীনগরে যাচ্ছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পরে বার বার চেষ্টা করেও উপত্যকায় পা রাখতে পারেননি। তবে সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার তাঁকে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। সেই অনুমতি মেনেই এদিন উপত্যকায় যাচ্ছেন গুলাম নবি আজাদ। তবে মানবিক কারণে তাঁর এই উপত্যকা সফর বাড়িতে যাবেন না। বরং আজ শ্রীনগর ঘুরে দেখবেন। আগামী দুদিন বারামুলা সহ বাকি জেলাগুলিতে যাবেন। সেখানকার সাধারণ মানুষের হালহকিকত জানবেন। সুপ্রিম রায়ে যে জেলাগুলির সফরের অনুমতি পেয়েছেন, সেই জায়গাগুলিতেই যাবেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আগস্টের শুরু থেকেই রাজধানীতে রয়েছেন। চেষ্টা করেও উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর সেখানে ফিরতে পারেননি তিনি। একবার শ্রীনগর এটারপোর্ট থেকে তাকে ফেরানো হয়েছে। আর একবার জম্মু এয়ারপোর্ট থেকে। এদিকে গুলাম নবি আজাদারে গোটা পরিবার স্বজন সবাই কাশ্মীরে থাকেন। সেখানে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলুপ্তিকে কেন্দ্র করে সমস্ত কমিউনিকেশন ব্ল্যাক আউট ছিল দীর্ঘ দিন। রাজনৈতিক নেতার গৃহবন্দি ও পরে গ্রেপ্তার হন। হয়তো গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad) নিজে সশরীরে সেখানে উপস্থিত থাকলে তাঁর অবস্থাও যে বাকিদের মতো হত তা ভালই অনুমান করা যায়। যাইহোক পরিবার পরিজনের ভালমন্দের খোঁজ খবর নিতে নয়, সাধারণ কাশ্মীরিরা এই পরিশ্তিতে কেমন আছেন তা জানতেই কতিনি কাশ্মীরে যেতে চান। সেই অনুমতি আদায়ের জন্যই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ। তবে তিনি একা নন, ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে যেতে চেয়ে রাহুল গান্ধী-সহ (Rahul Gandhi) বেশ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকে শ্রীনগর এয়ারপোর্ট থেকে ফিরতে হয়েছে। আরও পড়ুন-তিহাড়ে চিদম্বরমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে, ডাক্তারি পরীক্ষার আবেদনে রা কাড়ল না সিবিআই আদালত
মূলত মানবিক কারণেই তাঁর এবারের কাশ্মীর সফর। সেখানে পরিবার পরিজন থাকলেও টানা কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউটের পরও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হননি গুলাম নবি আজাদ। মুখে বলেছেন পরিবার নিয়ে আমি চিন্তিত, কিন্তু সাধারণ মানুষের অবস্থা ঠিক কেমন আছে তা জানতে বেশি আগ্রহী।