নতুন দিল্লি, ১৬ অক্টোবর: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে গ্রেপ্তারির আগে তিহার জেলে গেল ইডি। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-র তিন সদস্যের একটি দল পৌঁছায় তিহাড় জেলে। সেখানে একমাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। মূলত চিদম্বরমকে জেরা করতেই ইডির তিহাড়ে আগমন। তবে তদন্তকারী দলের আগেই তিহাড় জেল চত্বরে পৌঁছে গিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রী নলিনি চিদম্বরম ও ছেলে কার্তি চিদম্বরম। মূলত জেলবন্দি চিদম্বরমকে ভরসা জোগাতেই পরিবারের সদস্যদের আহমন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহেশ গুপ্তা, সন্দীপ থাপলিয়াল ও দৈনিক জৈন (Mahesh Gupta, Sandeep Thapliyal, and Dainik Jain) এই তিন ইডি আধিকারিক আজ চিদ্বরমের সঙ্গে কথা বলবেন। দিল্লির বিশেষ আদালত আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমকে তিহাড় জেলে গিয়ে ৩০ মিনিট জেরার অনুমতি দেওয়ার পরেই ইডির এই আয়োজন। বিশেষ সিবিআই বিচারক অজয় কুমার কুহার তিহাড়ে গিয়ে চিদম্বরমকে জেরা করার ও প্রয়োজনে গ্রেপ্তারির অনুমতি দিয়েছেন। এই মর্মে জেল কর্তৃপক্ষকেও বিধিব্যবস্থা ও জেরার জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এই গোটা প্রক্রিয়ার পিছনে বিশেষ আদালতের বিচারকের নির্দেশনামা রয়েছে। এর আগে প্রবীণ বিজেপি নেতার আগাম জামিনের আবেদন করে আদালতের গিয়েছিলেন কপিল সিব্বল সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিশেষ আদালত। ইডি যে তদন্তের জন্য তাঁকে হেফাজতে চেয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করতে চলেছে এই ঘটনাকে বেআইনি বলেছেন পি চিদম্বরম।আরও পড়ুন-Ayodhya Case Hearing, Day 40: আজ পাঁচটায় শেষ হবে অযোধ্যা মামলা, প্রত্যাহার করতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, কেন জানেন?
বর্তমানে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ফেঁসে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই (CBI) । আামী কাল ১৭ অক্টোবর তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২০০৭ সালে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন পি চিদম্বরম এফআইপিবির আন্ডারে আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর ফলে মিডিয়া ব্যারন পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জি (Pitar Mukherjee Indrani Mukherjee) ছেলে কার্তি চিদম্বরমকে মোটা টাকা উৎকোচ দিয়েছিল। সেই টাকার হিসেব খুঁজছে সিবিআই ও ইডি। যদিও জেরার পর জেরা করেও এখনও পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান মেলেনি।