নতুন দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) গৃহবন্দি করল দিল্লি পুলিশ। আম আদমি পার্টির তরফে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। কেন্দ্রের কৃষি বিরোধী আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে কৃষকরা। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে সেই আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে গিয়ে সোমবার সমর্থন জানিয়ে এসেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপর থেকে তাঁকে প্রায় গৃহবন্দি করে ফেলেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করার দাবি উড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। আম আদমি পার্টির তরফে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, “গতকাল কৃষকদের সমর্থনে সিঙ্ঘু সীমান্ত পরিদর্শনের পর থেকেই নিদের বাড়িতে গৃহবন্দিদশা কাটাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি পুলিশ তাঁকে গৃহবন্দি করেছে। তাঁর বাড়ি থেকে কারোর বেরনোর বা প্রবেশের অনুমতি নেই।” আরও পড়ুন-Bharat Bandh Latest Updates: কৃষি আইনের বিরোধিতায় তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশায় বনধের প্রভাব; স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন লাইন থেকে রাজপথ
गृहमंत्रालय के आदेशों पर दिल्ली के मुख्यमंत्री @ArvindKejriwal को हाउस अरेस्ट किया गया है।
किसान आंदोलन का समर्थन करने की वजह से भाजपा ने दिल्ली के मुख्यमंत्री को हाउस अरेस्ट किया। #आज_भारत_बंद_है #BJPHouseArrestsKejriwal pic.twitter.com/VONXCD0R9G
— AAP (@AamAadmiParty) December 8, 2020
Important :
BJP's Delhi Police has put Hon'ble CM Shri @ArvindKejriwal under house arrest ever since he visited farmers at Singhu Border yesterday
No one has been permitted to leave or enter his residence#आज_भारत_बंद_है#BJPHouseArrestsKejriwal
— AAP (@AamAadmiParty) December 8, 2020
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি নর্থ আন্টো আলফান্সো সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, আম আদমি পার্টির অভিযোগ সত্যি নয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন যেখানে ইচ্ছে সেখানেই যেতে পারেন। সোমবার সঙ্গু সীমান্তে গিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তাঁর দলের কর্মী ও সমর্থকরা যোগ দেবেন এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্তও করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে আন্দোলনরত কৃষকদের ৪০টি সংগঠন কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় আজ ৮ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ ভারত বনধের ডাক দেয়। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, চণ্ডীগড়, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা ও তামিলনাড়ু এবং ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম কৃষকদের ডাকা এই বনধকে সমর্থন করেছে।