দিল্লি, ৩০ অক্টোবর: সিবিআই-এর হাত থেকে একপ্রকার রেহাই পেয়ে তিহাড় পর্ব খতম হয়েছে। এমনটাই ভেবেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) । এদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিহাড় (Tihar Jail) পর্বের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন কপিল সিব্বল। তবে লাভের লাভ কিছুই হল না। দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi high court) কপিল সিব্বলের (Kapil Sibal) এই আবেদনকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনল না এমনকী, ইডি-র তরফেও পি চিদাম্বরমকে হেফাজতে নেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে তাও নাকচ করে দেন বিচারক। বরং ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেই চিদাম্বরমের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এইমস থেকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে ফিরতে হচ্ছে সেই তিহাড় জেলেই।
জানা গিয়েছে, জেলে গেলেও বাড়ির খাবার, ওষুধ ও কমোডের ব্যবস্থা আছে এমন শৌচাগার পাবেন পি চিদাম্বরম। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশেই এই বন্দোবস্ত। চিদাম্বরম আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর বাথরুমে কমোডের ব্যবস্থা করতে। এ দিন সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি তাঁর জন্য ওষুধের ব্যবস্থা এবং বাড়ির খাবারের আর্জি মঞ্জুর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কয়েকদিন আগেই তীব্র পেটে ব্যথায় কাতর হয়ে ইডির হেফাজত থেকে দিল্লির এইমস হাসাপাতালে ভর্তি হন পি চিদাম্বরম। তারপর থেকেই তিনি সেখানে ছিলেন, নিজের অসুস্থতা বোঝানোর চেষ্টা যতই করুন না কেন, ইডি-র মতে চিদাম্বরমের অবস্থা ততটাও শোচনীয় নয়। বুধবার ফের চিদাম্বরমের জামিনের আর্জি জানান আইনজীবী কপিল সিব্বল। শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল এবং বিচারপতি হরি শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে। কপিলের যুক্তি ছিল, ক্রমাগত চিকিৎসার পরেও পেটে ব্যথা কমছে না। তাঁর ওজন কমে যাচ্ছে। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়নি। আরও পড়ুন-Mumbai, Kolkata may get flooded by 2050: ২০৫০ সালের মধ্যে সর্বগ্রাসী সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাবে সাধের কলকাতা, কেন জানেন?
উল্লেখ্য, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় বিদেশি বিনিয়োগে অসঙ্গতির অভিযোগে গত ২১ আগস্ট চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেই মামলায় সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন চিদাম্বরম। কিন্তু ফের ইডি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়। সেই থেকে ইডির হেফাজতেই ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন জামিনের আর্জি খারিজ এবং ইডির হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি খারিজ হওয়ায় ফের চিদম্বারমের ঠিকানা হতে চলেছে তিহাড় জেল।