দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর: অবশেষে আম আদমি পার্টির (AAP) সঙ্গ ছাড়লেন বিধায়ক অলকা লাম্বা (MLA Alka Lamba)। শুক্রবার টুইট করে দল ত্যাগের বার্তা দেন এই রাজনীতিক। একই সঙ্গে টুইটারেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে দলীয় প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) অনুরোধ করেছেন অলকা। গত মঙ্গলবার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন অলকা লাম্বা। দিল্লিতে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আপ ছেড়ে তিনি যে তাঁর পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরবেন, সেরকম জল্পনা আগে থেকেই ছিল। এদিন টুইট করে অলকা লাম্বা বলেন, 'সময় এসে গিয়েছে আপ-কে বিদায় জানানোর। এই দলে ছয় বছরের যাত্রায় সত্যিই অনেক কিছু শিখলাম। আম আদমি এখন খাস আদমি পার্টিতে পরিণত হয়েছে।'
অলকা লাম্বার এই পদক্ষেপ অবশ্য আশাতীত নয়। আম আদমি পার্টির সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই গোলমাল চলছিল তাঁর। এমনকী দিল্লির নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবেও লড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন অলকা লাম্বা। ৩৪ বছরের অলকা এর আগে ২০ বছর ধরে কংগ্রেসে ছিলেন। দিল্লির চাঁদনী চকের এই বিধায়ক গতমাসেই জানিয়েছিলেন এবার আপ থেকে ছুটি নেবেন, তার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলেন অলকা লাম্বা। তারপর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের বিধায়কদের একটি অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখান থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
The time has come to say
"Good Bye" to #AAP and to resign from the primary membership of the Party.
The past 6years journey was a great learning for me.
Thanks to all. 🙏🇮🇳. #JaiHind #ChandniChowk #MLA #AlkaLamba #Delhi
— Alka Lamba - अलका लाम्बा (@LambaAlka) September 6, 2019
আপের একটি অনুষ্ঠানে কেজরিওয়ালের গাড়ির পিছনে তাঁকে হাঁটতে বলা হয়েছিল। এই ঘটনায় ঘোরতর অপমান বোধ করেন বিধায়ক অলকা লাম্বা। এরপরেই নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেন। গত লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচারে যেতেও অস্বীকার করেছিলেন তিনি। কেজরিওয়ালের রোড শো-তেও অংশ নেননি। আসলে তিনি যে দলের ভরাডুবি নিয়ে দল নেতার কাছে জবাব চেয়েছেন, এটাই হজম করে উঠতে পারেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে তাতে কী তিনি তো আর যে সে কেউ নন। ৩৪ বছরের জীবনে কংগ্রেসের সঙ্গেই কাটিয়েছেন ২০টা বসন্ত। বয়সের তুলনায় রাজনীতিতে যে অলকা লাম্বা বেশ প্রবীণ তা বলাই বাহুল্য।