Gurudas Dasgupta Passes Away: প্রয়াত প্রবীণ সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত
গুরুদাস দাশগুপ্ত (Photo: ANI)

কলকাতা, ৩১ অক্টোবর: প্রয়াত হলেন প্রবীণ সিপিআই (CPI) নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত (Gurudas Dasgupta)। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। তাঁর ৮৩ বছর বয়স হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে হার্ট এবং কিডনিজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। সম্প্রতি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই আজ সকালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

গুরুদাস দাশগুপ্তের জন্ম ১৯৩৬ সালে বাংলাদেশের বরিশালে। বাবার নাম ছিল দুর্গাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত এবং মায়ের নাম ছিল নীহার দেবী। ১৯৬৫ সালে জয়শ্রী দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এবছরের অগাস্টে অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চেতলার বাড়িতে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেই সময় জানা গিয়েছিল মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল। ২০১৭-র ডিসেম্বরে টানা ১৭ বছর অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের ( AITUC) শীর্ষ পদে থাকার পর অব্যাহতি নেন তিনি। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন। আরও পড়ুন: Kashmir: কাশ্মীরে নিহত ৫ বাঙালি শ্রমিকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার; ঘোষণা করলেন মমতা ব্যানার্জি

গুরুদাস দাশগুপ্তের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন নব্বইয়ের দশকে শুরু হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন। ২০০১ সালে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের ( AITUC) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে পাশকুড়া লোকসভা আসন থেকে ১৪ তম লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি ঘাটাল থেকে পঞ্চদশ লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তিনি মেট ৫ বার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি টুজি স্পেকট্রাম মামলায় জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-র বিরুদ্ধে "কর্তব্যে অবহেলার" অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে মনমোহন সিং লাইসেন্স বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে পুরোপুরি জানতেন।

একজন সাসদ সদস্য হিসেবে গুরুদাস দাশগুপ্ত দারুণ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সংসদে তাঁর ২৫ বছরের সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছিলেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি ভোটে দাঁড়াননি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে তিনি কেবল ভোট রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন, সাধারণ রাজনীতি চালিয়ে যাবেন।